কলকাতা : ১৪ ফেব্রুয়ারি ইকো পার্কে বাতিল অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) কনসার্ট। ভিড় নিয়ন্ত্রণে অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। এদিনই এ তথ্য জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ওই সময় জি-২০ সম্মেলন রয়েছে শহরে। সে কারণেই পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কলকাতার (Kolkata) মেয়র। তবে ইকো পার্কের বদলে অনুষ্ঠানের জন্য বিকল্প জায়গা আয়োজকদের দেওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল বলে দাবি ফিরহাদের। যদিও এখনও কনসার্টের জন্য বিক্রি হওয়া টিকিটে ইকো পার্কের কথা লেখা থাকাতেই বাড়ছে চাপানউতর। যাঁরা ইতিমধ্যেই টিকিট কেটে ফেলেছেন তাঁরা টাকা কীভাবে ফেরত পাবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। কিন্তু, পুলিশি অনুমতি না নিয়ে কেন ইকো পার্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছিল, টিকিট বিক্রি হচ্ছিল সেই প্রশ্নও এদিন তোলেন ফিরহাদ।
এদিন ফিরহাদ বলেন, “ওই সময় জি-২০ সম্মেলন রয়েছে। এখন অনেক প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। এখন ওখানে বড় অনুষ্ঠান করলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। সেই জন্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না। তবে অনুষ্ঠানের জন্য বিকল্প জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশি অনুমতি না নিয়ে কেন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল? আয়োজকের বিরুদ্ধে এফআইআর হলে তো তিনি গ্রেফতার হবেন।” তবে অনুষ্ঠান বাতিলের কথা ঘোষণা হতেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অরিজিৎ রাজনীতির শিকার, কার্যত এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। ‘মুখ্যমন্ত্রীর সামনে রং দে তু মোহে গেরুয়া গান গাওয়ার জন্যই কী এই শো বাতিল করা হল ?’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২৮তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে (Kolkata Film Festival )হাজির হয়েছিলেন অরিজিৎ সিং। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন একটি গান গাওয়ার জন্য। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পর অরিজিৎ বলেন, “একটা গান গেয়ে দিই, তাহলে ল্যাটা চুকে যাবে।” এরপরেই ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবির টাইটেল ট্র্যাকটি গাইতে শোনা যায় তাঁকে। তারপরেই গান,”রঙ দে তু মোহে গেরুয়া” গানটি। যা নিয়েই বিতর্ক। এমতাবস্থায় এবার ইকো পার্কের কনসার্ট বাতিল হওয়ায় শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি মুখমাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “চূড়ান্ত অসহিষ্ণুতার পরিচয় এটা। অসৌজন্যতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার। ওরা বিরোধিতাকে স্বীকার করতে পারে না। পরোক্ষভাবে যদি কেউ কোনও শব্দ উচ্চারণ করে যার সঙ্গে দল বা রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই তখন তার সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি অবস্থায় এই কাজ হয়েছিল। কিশোর কুমারের গান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের গানে কাঁচি চলেছিল।”