Bhabanipur By-Election: ‘এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়,’ আক্রমণের পর দাবি দিলীপের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 27, 2021 | 4:35 PM

Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে এক কর্মীর মাথা ফাটে। তাঁকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। বলেন, স্থগিত করা দরকার এই ভোট। আইন পরিস্থিতি ঠিক হলে তার পর ভোট হোক।

Bhabanipur By-Election: এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়, আক্রমণের পর দাবি দিলীপের
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দিলীপ ঘোষ (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: সোমবার নির্বাচজনী প্রচারের শেষ দিনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি ভবানীপুরে। এদিন যদুবাবুর বাজারে দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-‌সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন। দেখা যায়, প্রবল বিক্ষোভ আর ধাক্কাধাক্কিতে বাধ্য হয়ে বন্দুক বের করে দিলীপকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পরে দিলীপ নিজে কী বলছেন?

গাড়িতে উঠেই Tv9 বাংলাকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওরা (TMC) জানে, বিজেপি প্রচারে নামলে হেরে যাবে। তাই গুন্ডা দিয়ে প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। এখানেও ট্রাই করছি।” মন্তব্য নির্লিপ্ত দিলীপের।

কয়েক দিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরেছেন দিলীপ। কিন্তু ভবানীপুরে ভোটের প্রচারে বিরোধী পক্ষের মূল টার্গেট হলেন তিনিই। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে এদিন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী-‌সমর্থকদের। আহত হন বেশ কয়েকজন। এদিকে খবর পেয়েই যদুবাবুর বাজারে পৌঁছন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং দীনেশ ত্রিবেদী, অর্জুন সিংরা।

দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মী-‌সমর্থকরা তাঁদের প্রচারে বাধা দেন। তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে এক কর্মীর মাথা ফাটে। তাঁকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। যদিও তার পরেও তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তার পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘স্থগিত করা দরকার এই ভোট। আইন পরিস্থিতি ঠিক হলে তার পর ভোট হোক।’

তিনি আরও বলেন, “আজ প্রচারের শেষ দিনে যেভাবে গুন্ডা দিয়ে, প্রচার বন্ধ করা হল, বিজেপিকে আটকাবার চেষ্টা করা হয়েছে, এর দ্বারা প্রমাণিত ভবানীপুরের মানুষ ভয়ের পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। এখন এই গুন্ডাদের সামনে সাধারণ মানুষ কীভাবে বেরিয়ে গিয়ে ভোটটা দেবেন? তাঁরা তো নিরপেক্ষ ভাবে ভোটটা দিতেই পারবে না! তাঁরা যদি বিজেপিকে ভোট দেবে বলে তাহলে তো সম্ভবই নয়, বাড়ি থেকে বেরনো! সে জন্য যে পরিস্থিতির মধ্যে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য ভোট করছে সরকার, তাতে সুরক্ষা দেওয়া উচিত। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়। স্থগিত করা দরকার।” বলেন, “আমি নিজে ভুক্তভোগী। তাই আমার অধিকার আছে বলার। দাবি করছি নির্বাচন বন্ধ হওয়া উচিত।”

নিজের ফেসবুক প্রোফাই‌ল থেকে এদিনের বিক্ষোভের ভিডিয়ো পোস্ট করে দিলীপ লেখেন, “মাননীয়ার খাস তালুক ভবানীপুরে একজন জনপ্রতিনিধির উপর যেভাবে হামলা হল এই রাজ্যে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন কতটা সুরক্ষিত? আজ তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার এলাকায় যে ভাবে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হল, আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল সেটি শাসকদলের জঘন্য, ভয়াবহ রূপটিকে তুলে ধরে। এর পরও কি সুস্থ নির্বাচন আশা করা যায়??” (বানান অপরিবর্তিত)

এদিকে এদিনের ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং সরাসরি অভিযোগ করেন মমতার নির্দেশেই দিলীপ ঘোষের ওপর এই হামলা হয়েছে। তাঁর কথায়, “মমতা খোদ এই আক্রমণ করাচ্ছেন, ভোট এখানে হতেই দেবে না। কমিশন পদক্ষেপ না করলে ভোট বন্ধ হোক।” একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। বলেন, “আমরা স্তম্ভিত! একশোজন তৃণমূল কর্মীকে ট্রেনড করে পাঠানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণের জন্য। আর পুলিশ কী করছিল?”

তাঁর আরও দাবি, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যেখানে প্রার্থী, তাঁর জায়গায় এদিনের পরিস্থিতির পর ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তৃণমূল বাছাই করা গুন্ডা পাঠিয়েছিল ভবানীপুরে। কিন্তু তাঁরা দাঁতে দাঁত চেপে লড়বেন।

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: দফায় দফায় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি 

Next Article