Bhabanipur By-Election: দফায় দফায় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি
West Bengal BJP: আজ সকাল থেকে দফায় দফায় দলীয় নেতা ও কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কমিশনে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।
কলকাতা: বিজেপির কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) অভিযোগ জানাবে বিজেপি (West Bengal BJP)। তার আগে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক সেরে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।। আজ বিকেলে হেস্টিংসে বিজেপির দলীয় কার্য্যালয়ে বৈঠকে বসে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, দলের দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আজই দিল্লি যাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। তার আগে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) রণকৌশল নিয়েও আলোচনা হয় আজকের বৈঠকে।
দলীয় সূত্রে খবর, আগামিকাল বিকেল ৪ টেয় দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিজেপির প্রতিনিধি দল। ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা ও বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ জানাতে কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রতিনিধি দল।
পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা থাকবেন।
আজ সকালে যদুবাবুর বাজারে প্রচারে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই শুরু হল গন্ডগোল। তুলকালাম হয় যদুবাবুর বাজার এলাকা। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। একদল বিক্ষুব্ধ তাঁকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে শুরু করে।
বিজেপির অভিযোগ, প্রত্যেকে তৃণমূলের লোক। আর সেই সময়েই আক্রান্ত হন দুই বিজেপি কর্মী। একজনের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তাঁদের প্রথমে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতির কারণে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিকে প্রচারে বেরিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হন দিলীপ ঘোষও। আশেপাশে কোথাও কোনও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাও মেলেনি। আর এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষকে বিক্ষোভের থেকে বের করে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের। কার্যত বন্দুক উঁচিয়ে সেখান থেকে বের করে আনেন তাঁরা।
আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি। ভবানীপুরের মতো ছোট একটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। তবু তার জন্য ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও দেখা গেল, নির্বাচনের আগে শেষ প্রচারের দিন বিজেপির ঘোষিত কর্মসূচিতে এই বিশৃঙ্খলা। আর ঘটনাস্থলে কোথাও নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
কোনও রাজনৈতিক অশান্তির খবর এলে পুলিশকে কড়া ভূমিকা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা যাতে কার্যকরী হয়, সেই বিষয়েও পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল মুখ্যসচিবের তরফে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছিল কলকাতা পুলিশকেও। কিন্তু কোথাও পুলিশের দেখা ছিল না আজ।
এদিকে ভবানীপুরে আজকের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৪টের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে আজ সকাল থেকে দফায় দফায় হামলার প্রতিবাদে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানাতে যাবেন রাজ্য বিজেপিতে নেতারা।
আরও পড়ুন: Bhawanipore By-Election: ভবানীপুরের ভোটে বড় কোনও কোপ? বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট চাইল কমিশনের