Bhawanipore By-Election: ভবানীপুরের ভোটে বড় কোনও কোপ? বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট চাইল কমিশন
Bhabanipur By-Election: কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল, কেন সাংসদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে।
কলকাতা: শেষবেলার প্রচারে ধুন্ধুমার ভবানীপুরে (Bhabanipur By-Election)। সেই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সোমবার বিকেল ৪টের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ভবানীপুরে ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন। তার আগে সোমবার শেষ প্রচার। এই প্রচার ঘিরে এদিন দুপুরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধে যদুবাবুর বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বিজেপির একটি পথসভায় দিলীপ ঘোষ উপস্থিত হওয়ার আগেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে একদল। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের লোকজন। তাঁরা সাংসদকে ঘিরে ধরেন। হইচই, চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয় সেখানে।
এদিকে সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিল না কোনও পুলিশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ছিল না বলেই অভিযোগ ওঠে। এমন অবস্থা তৈরি হয়, দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীকে পিস্তল উঁচিয়ে সাংসদকে ওই ভিড় থেকে বের করে আনতে হয়। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনায় মুখর হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
ভবানীপুরের যদুবাজারে বিজেপির নির্বাচনী পথসভায় তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনীর দ্বারা ফের রক্ত ঝড়লো বিজেপি কর্মকর্তাদের!
নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুরের মানুষও ৩০শে সেপ্টেম্বর ভোটবাক্সেই এই অন্যায়ের জবাব দেবে। #AbaroHarbeMamata pic.twitter.com/mdwtBJ5Mpu
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) September 27, 2021
এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করে রাজ্যের কাছে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল, কেন সাংসদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজও নির্বাচন কমিশন চেয়ে পাঠিয়েছে বলেই খবর। সাধারণ ভাবে, যখনই প্রচার সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট তলব করা হয়, সবসময়ই সেই ঘটনার ভিডিয়ো কিংবা অডিয়ো ফুটেজও চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ সেই ঘটনার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে, এমন যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয় কমিশনের তরফে। আপাতত কমিশনের যে রাজ্য অফিস রয়েছে সেখানেই যাবতীয় ফুটেজ যাবে। এরপর দিল্লি মনে করলে সেখানে ফুটেজ চেয়ে পাঠাবে। কমিশন চাইলে এর পর কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “কেউ কোথাও আটকায় না, কেউ কোথাও গুরুত্বই দেয় না। এরা পাত্তাই পায় না। এদের তো মানুষই গ্রহণ করছে না। কিছু নেতা উল্টোপাল্টা বকছে। সেই পুরনো ধারা। কোথাও সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা, কোথাও ব্যক্তিগত আক্রমণ। সেই জন্য কিছু কিছু জায়গায় মানুষ বিশেষত বীতশ্রদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করছে। কেউ আটকাবে ওদের। বিজেপি খায় না মাথায় দেয়? এই তো ঘুরে বেড়াচ্ছে। অটোয় ঘুরে ঘুরে বলছে, মানুষ হাসছে। এগুলোর কোনও দামই নেই। নিজেদের দাম বাড়ানোর চেষ্টায় এসব করছে।”
পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মাননীয় দিলীপদা আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতার উপর যে ভাবে হামলা হয়েছে, আমার মনে হয় ফিরহাদ হাকিমের একটু হলেও অনুশোচনা হওয়া দরকার ছিল। অবশ্য যদি উনি বাংলার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত। না হলে এত লোক এই কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে একসঙ্গে জড়ো হল?”
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: দিলীপের উপর ‘হামলা’, কোথায় গেল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী! কী করছিল পুলিশ?