Dilip Ghosh: ‘JNU-তে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি…’, এবার যাদবপুরকে ঠান্ডা করার দাওয়াই দিলীপের

সুজয় পাল | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 09, 2025 | 8:04 PM

Dilip Ghosh: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের জখম হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আর তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়।

Dilip Ghosh: JNU-তে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি..., এবার যাদবপুরকে ঠান্ডা করার দাওয়াই দিলীপের
যাদবপুরকে ঠান্ডা করার দাওয়াই দিলীপের!
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে ফের সুর চড়িয়ে হুঙ্কার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর এবার যাদবপুর ঠান্ডা করার দাওয়াই দিচ্ছেন দিলীপ। তাঁর মন্তব্য, দেশবিরোধীদের কীভাবে ঠান্ডা করতে হয়, JNU-তে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর ক্যাম্পাস চিরদিনই মাওবাদীদের আখড়া বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের লোকেরা ডায়লগ দেয় শুধু। আজ পর্যন্ত পশ্চিমবাংলার কোথায় গন্ডগোলটা থামাতে পেরেছে ওরা? সন্দেশখালি থেকে আরম্ভ করে বগটুই, এত বড় বড় ঘটনা ঘটল, রোজ রেপ মার্ডার হচ্ছে, এরা ডায়লগবাজ খালি। হিম্মত থাকলে ঢোকাও পুলিশ ওখানে।” এরপরই তিনি বলেন, “JNU-তে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, যাদবপুর কীভাবে ঠান্ডা করতে হয়। যাদবপুর তো চিরদিনই মাওবাদীদের আখড়া। ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। কিছু পুরনো লোক রয়েছেন, যারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। আর যারা নতুন ছেলেমেয়েরা যায়, তাদের ওখানে মাথা খাওয়া হয়। দিল্লিতে ওরকম চলেছিল, আজ হিম্মত নেই কিছু করার।”

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের জখম হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আর তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়। এর আগেও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এই প্রেক্ষিতেই যাদবপুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, “কীভাবে আমরা সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিলাম, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আপনারা দেখেছেন।” এবার দিলেন ঠান্ডা করে দেওয়ার দাওয়াই।

এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “দিলীপ ঘোষ JNU-এর সর্বশেষ ভোটের রেজাল্টটা জানেন না। এত কিছু… ঐশীদের মাথা ফাটানোর পরও JNUতে যে ভোট হয়েছিল, সেখানে ABVP গোহারা হেরেছিল, বামপন্থীরা হইহই করে জিতেছিল। এর আগেও দিলীপ ঘোষ যাদবপুর সম্পর্কে বলেছিলেন ঠ্যাং ভেঙে দেব, তখন তিনি খড়্গপুরের সাংসদ ছিলেন। যাদবপুরের ঠ্যাং তো ভাঙতে পারলেন না, আরও বর্ধমানে গিয়ে হেরে গেলেন।”

Next Article