পরিচালকের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা, প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা

Dec 22, 2020 | 5:49 PM

হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত্যু এবং ডেথ সার্টিফিকেটে অসংলগ্নতার অভিযোগ তুলেছে তারা।

পরিচালকের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা, প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা
লাবনী সরকার ও শঙ্কর চক্রবর্তীর সঙ্গে জগন্নাথ গুহ।

Follow Us

কলকাতা: প্রয়াত পরিচালক জগন্নাথ গুহর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক অভিযোগ। যদিও উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে একেবারেই নিশ্চুপ। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জবাব চান প্রয়াত পরিচালকের সহকর্মীরা।

কী অভিযোগ?

সোমবার বেলা ১১টায় ডায়ালিসিসের জন্য টোকেন জমা দিয়েছিলেন পরিচালক জগন্নাথ গুহ। বিকেল চারটেয় সময় দেওয়া হয় তাঁকে। চারটে দশ নাগাদ ভর্তি হন তিনি। গোটা সময়টায় পরিচালকের একমাত্র সঙ্গী ছিলেন গাড়ির চালক বিশ্বনাথ ঝাঁ। তিনিই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন জগন্নাথবাবুকে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি জগন্নাথবাবুকে খাবার খাইয়েছেন। সেই সময় স্বাভাবিকভাবে কথাও বলেছিলেন জগন্নাথবাবু। এরপর রাতের দিকে আসতে বলা হয় বিশ্বনাথবাবুকে।

এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, রাতে হাসপাতালে যাওয়ার পর তাঁকে জানানো হয়, জগন্নাথবাবু অসুস্থ। এবং পাশের বেডের রোগী তাঁকে জানান, সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ জগন্নাথবাবুর হাত থেকে ক্রমাগত রক্তপাত হয়েছে। ডাকাডাকি করায় চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ অবস্থা আরও সংকটজনক হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করা হবে বলে ৫০,০০০ টাকাও জমা নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বাইরেই সারারাত বসেছিলেন বিশ্বনাথবাবু। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই জানান হয় জগন্নাথবাবু মারা গিয়েছেন। পরে যখন ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেখানে স্পষ্টই লেখা থাকে সোমবার রাত সাতটা পঁয়তাল্লিশে মারা গিয়েছেন জগন্নাথবাবু।

আরও পড়ুন: প্রয়াত পরিচালক তথা অভিনেতা জগন্নাথ গুহ, স্মৃতিচারণায় শিল্পী মহল

যেখানে ধোঁয়াশা

মূলত, দুটি বিষয়কে ঘিরে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। সোমবার সন্ধে সাতটা পঁয়তাল্লিশে পরিচালকের মৃত্যু হলেও পরিবারকে কেন রাতে সে খবর জানান হল না? দ্বিতীয়ত, যে মানুষটির সন্ধে সাতটা পঁয়তাল্লিশে মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে আইসিইউতে ভর্তির জন্য হাসপাতাল কীভাবে রাত সাড়ে ন’টায় ৫০,০০০ টাকা নিল? যদিও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, একটা প্রসেস শুরু হওয়ার জন্যই ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু সেই উত্তর যে যথাযথ নয়, তেমনটাই মনে করছে আর্টিস্ট ফোরাম এবং ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।

হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত্যু এবং ডেথ সার্টিফিকেটে অসংলগ্নতার অভিযোগ তুলেছে তারা। উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। সিইও রূপালি বসুকে ফোন করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলে তারও জবাব দেননি।

Next Article