কলকাতা: ইডি-র সঙ্গে তাঁর ‘যুদ্ধটা’ পুরনো। কয়লা পাচার মামলায় ইডি-র (ED) কাছে বেশ কয়েকবার ডাকও পেয়েছেন তিনি। কথা হচ্ছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে নিয়ে। মামলায় নাম জড়ানোর পর ব্যাঙ্কক যেতে গেলে কলকাতা (Kolkata) বিমানবন্দরে বাধার মুখে পড়েন মেনকা। পথ আটকায় অভিবাসন দফতর। ইডিকেও জানানো হয়েছিল বিষয়টি।সেপ্টেম্বরেই ইডি-র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা গম্ভীর। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে আবার ‘রক্ষাকবচও’ পেয়ে গিয়েছিলেন মেনকা। আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘কড়া’ পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি।
এদিকে ইতিমধ্যেই আবার মেনকার ‘রক্ষাকবচ’ খারিজ ও তাঁকে কলকাতায় জেরা করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা খারিজের দাবি তুলে আদালতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইডি-র আইনজীবীরা। শুক্রবার হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হয়। তবে ইডি-র আবেদনে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যের শীর্ষ আদালতের সাফ দাবি মেনকা যে নোটিসের উপর ভিত্তি করে আদালতে এসেছিলেন, তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সে কারণেই শেষ হয়েছে রক্ষাকবচের মেয়াদ। সূত্রের খবর, এদিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে যখন নোটিস জারি হয়েছিল তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। এখন আর এই নোটিসের কোনও সারবত্তা নেই। আদলতের তরফে ইডিকে জানানো হয়েছে তাঁরা চাইলে এ বিষয়ে ফের সিঙ্গল বেঞ্চে যেতে পারেন।