কলকাতা: তিনি লোকসভার তৃণমূল সাংসদ। আইনজীবীর পোশাক পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে হাইপ্রোফাইল মামলা লড়েন। যার মধ্যে অন্যতম সিঙ্গুর মামলা। শুধু আইনেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়, রাজনীতির ময়দানেও সমানভাবে সপ্রতিভ। তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ১৯৭২-৭৫ সালে এলএলবি পাশ করেছেন তিনি। তাবড় তাবড় মামলা লড়েছেন তিনি। বাড়িতে কেবল বই-ই রয়েছে ১.২৫ কোটি টাকার। মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করে দেশের রাজনীতিতে এই শিরোনামে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজের জন্য জগদীপ ধনখড়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে ফের চর্চায় তিনি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ।
২০১৯ সালে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তাঁর নথি বলছে, সে সময়ে তাঁর হাতে ছিল ২ লক্ষ টাকা। কেবল কালীঘাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কেই রয়েছে ১, ৭৮,৩২,৬১৭ টাকার। এছাড়াও আরও একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্কে মোটা টাকা রয়েছে সাংসদের। ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিস মিলিয়ে ৫ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৭ টাকা রয়েছে। জীবন বিমা, এলআইসি-তে টাকা রেখেছেন আইনজীবী সাংসদ। টাকা বিনিয়োগ করেছেন মিউচুয়াল ফান্ডেও। প্রায় সাড়ে ৩ কোটির বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। বাড়িতে ১.২৫কোটি টাকার বই রয়েছে। মোট ১৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৩২ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে কল্যাণের।
কল্যাণের দুটি চার চাকা গাড়ি রয়েছে। একটি গাড়ির দাম ১৮ লাখ, আরেকটি ১৫ লক্ষ। আইনজীবীর নিজেরই সোনা রয়েছে ২৫০ গ্রামের। যার সে সময়ে বাজার মূল্য ছিল আনুমানিক ৮ লক্ষ টাকা। ফ্ল্যাট ও বাড়ি নিয়ে তাঁর তিনটি বাসস্থান রয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা। বাঁকুড়াতেও জমি রয়েছে কল্যাণের। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা।
২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে কল্যাণের বার্ষিক আয় ছিল ১,৯৫,৮২,৬৪০ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তাঁর বার্ষিক আয়ের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৬৫,৯৭,১২০ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে তাঁর স্ত্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্ষিক আয় ৪,১৬,৭৬০ টাকা।
আইনজীবী সাংসদের স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণও নেহাতই কম নয়। ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯৬৮ টাকার সম্পত্তির রয়েছে। ৪০০ গ্রাম সোনা রয়েছে তাঁর স্ত্রী, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৩ লক্ষ টাকা। তাঁর স্ত্রীরও একটি ফ্ল্যাট ও একটি বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১২ লক্ষ টাকা।