SSC Recruitment Scam: ডেডলাইন রয়েছে সোমবার, বিচারপতির মন্তব্যে সাড়া দিয়ে কেউ কি ছাড়লেন চাকরি ?
SSC: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) কাছে কি জমা পড়ল কোনও পদত্যাগপত্র? এসএসসি সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ইস্তফা দিয়ে কোনও মেইল আসেনি।
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নিজে থেকে ইস্তফা দিন। নাহলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টের তরফে সময়সীমাও স্থির করে দেওয়া হয়েছিল। ৭ নভেম্বর সেই ডেডলাইন। ৭ নভেম্বরের মধ্যে চিঠি লিখে ব্যতিক্রমীদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। ৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা পদত্যাগ না করলে কঠোর পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন বিচারপতি। ২৮ সেপ্টেম্বর এই কথা বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের পর এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) কাছে কি জমা পড়ল কোনও পদত্যাগপত্র? এসএসসি সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ইস্তফা দিয়ে কোনও মেইল আসেনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার ও রবিবার কমিশনের অফিসে আসেননি চেয়ারম্যান। যদিও হাইকোর্টের বিচারপতির সেই মন্তব্য অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা রয়েছে। অর্থাৎ আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত সেই সময় রয়েছে। এরপরও যদি কোনও পদত্যাগপত্র না আসে, সেই বিষয়টি আদালতকে জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে কমিশন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও মেইল আসেনি এই বিষয়ে। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ব্যতিক্রমী নিয়োগ কোথায় কোথায় হয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এখন দেখার সোমবার এই বিষয়টি কোনদিকে মোড় নেয় এবং তারপর এসএসসির পদক্ষেপ কী হয়।
উল্লেখ্য, এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আদালতে উঠে এসেছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাদা খাতা জমা পড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কেবল ৫-৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। অথচ, সেখানে নম্বর পেয়েছে ৫৩। এমন অবস্থায় আদালতের মন্তব্য ছিল, যাঁরা ব্যতিক্রমী নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নিজে থেকে চাকরি ছাড়তে হবে। ৭ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। অন্যথায় কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিতও দিয়েছিল আদালত।