কলকাতা: তিলোত্তমার নৃশংস পরিণতি যেন আরজি করের ‘অপরাধের বাক্স’-র ডালা খুলে দিয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন হয়। কিন্তু, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। আরজি করে ড্রাগ সরবরাহ চক্র সক্রিয় বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। উঠে আসছে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ জুনিয়র চিকিৎসকদের নাম। শুধু তাই নয়, তিলোত্তমার আগেও একাধিক চিকিৎসক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার বলে রিপোর্টে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। ড্রাগের কারবার, যৌন নির্যাতনের মাথাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছে কলেজ কাউন্সিল।
তিলোত্তমাকাণ্ডের পর আরজি করে থ্রেট কালচার নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন দফার শুনানি শেষে কলেজ কাউন্সিলের অনুমতিক্রমে শনিবার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্দীপ ঘোষের আমলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চলত ড্রাগের কারবার। জুনিয়রদের ড্রাগ ও মদ কিনতে বাধ্য করা হত।
এছাড়া একাধিক চিকিৎসক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। আর এই গুরুতর অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠরা জড়িত বলে সাক্ষী দিয়েছেন অন্তত ৮০ জন চিকিৎসক পড়ুয়া। ঘটনাচক্রে, সেই অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা আশিস পাণ্ডে ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের হাতে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে দিয়েছে আরজি করের তদন্ত কমিটি।
আরজি কর সূত্রে খবর, ড্রাগের কারবারে জড়িত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ছয় জুনিয়র চিকিৎসক। আবার যৌন নির্যাতনে জড়িত সন্দীপ ঘনিষ্ঠ দুই চিকিৎসক। তিলোত্তমার নৃশংস পরিণতির পিছনে রিপোর্টে উঠে আসা অভিযোগগুলোই কারণ কি না সেই জল্পনাও উস্কে দিল।