কলকাতা: মধ্যরাতে নয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড়দিনের (Christmas) পবিত্র প্রার্থনায় যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোভিড (COVID 19) পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই এই বছর বড়দিনের মধ্যরাতের “হোলি মাস” বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার আর্চ বিশপ টমাস ডি’সুজার দফতর থেকে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রথামাফিক প্রতি বছর ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে যে প্রার্থনা হয়, সেই “হোলি মাস” এ বছর আয়োজন করা হবে না। তার বদলে সন্ধ্যায় প্রার্থনা হবে এবং রাত ৯টার মধ্য়ে সেই প্রার্থনা শেষ করা হবে। বুধবার ক্যাথলিক চার্চের পক্ষে ফাদার ডমিনিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি বছর মধ্য়রাতের প্রার্থনায় যোগ দেন। এ বছর সেই প্রার্থনা না থাকায় সন্ধ্য়ায় তাঁর আসার কথা।” সূত্রের খবর, সন্ধ্য়া সাড়ে ৭টা নাগাদ তিনি সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রালে যাবেন।
দুর্গাপুজোর সময়তেই কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাশ টানা হয়েছিল উৎসবে। মন্ডপের ভিতরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বড়দিন এবং বর্ষবরণের আগে শহরে ঢল নামে মানুষের। সেই ভিড় থেকে ফের ছড়াতে পারে কোভিড। গত কয়েক দিন ধরেই তা নিয়ে আশঙ্কিত চিকিৎসকরা।
সেই ভিড়ে যাতে রাশ টানা যায়, তার জন্যই বড়দিনের রাতের প্রার্থনায় রাশ টানা হচ্ছে। চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার আর্চ বিশপ পরিতোষ ক্যানিং জানিয়েছেন, তাঁরা মধ্যরাতের প্রার্থনা বাতিল করছেন না। তবে এক সঙ্গে ২৫ জনের বেশি গীর্জায় ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হবে না। পাশাপাশি দফায় দফায় গীর্জার প্রার্থনা ঘরে চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। পরিতোষ ক্যানিং জানিয়েছেন, রাত দেড়টার মধ্যে প্রার্থনা পর্ব মিটিয়ে দেওয়া হবে। তবে তিনি জানান, প্রার্থনা অনলাইনে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তদের তিনি যত বেশি সম্ভব অনলাইন প্রার্থনায় যোগ দিতে অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা ‘সুনামি’ ঠেকাতে কর্নাটকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘নাইট কার্ফু’
বড় চার্চগুলিতে মধ্যরাতের প্রার্থনা বাতিল না হলেও, যে সমস্ত গীর্জায় জায়গা কম, সেখানে রাতের প্রার্থনা হবে না বলে জানিয়েছেন ক্যানিং। অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন গীর্জায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে পার্ক স্ট্রিট এবং মধ্য কলকাতায় যে সমস্ত জায়গায় বড়দিনের রাতে ভিড় হয়, সেখানে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে যাতে সেখানে অপ্রয়োজনীয় ভিড় না হয়।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু নিজেই লিফটে উঠেছে, ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা সৌগতর