Rail Service: ছ’ ঘণ্টা টিকিট কাটা যাবে না, আগামী সাতদিনের জন্য বড় ঘোষণা রেলের
Ticket Reservation: বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সি বা অনলাইনে টিকিট কেটে দেয় যে সমস্ত সংস্থা তারাও এই প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের মাধ্যমেই কাজ করে।
কলকাতা: আগামী সাত দিন ছ’ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে রেলের অনলাইন রিজার্ভেশন পরিষেবা। পূর্ব রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের আপগ্রেডেশনের কাজ চলবে। সে কারণেই ১৫ নভেম্বর থেকে আগামী সাতদিন রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত রেল রিজার্ভেশন সংক্রান্ত কোনও রকম অনলাইন পরিষেবা দেবে না। তবে দিনের বাকি সময় স্বাভাবিক পরিষেবাই পাবেন সাধারণ মানুষ।
প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম বা পিআরএসে প্রায়ই আপগ্রেডেশনের কাজ করতে হয়। সেই আপগ্রেডেশন বা আধুনিকীকরণের কাজ হবে ১৫ নভেম্বর থেকে। অফিস টাইমে এই কাজ করা সমস্যার। কারণ, বর্তমানে রেলের অধিকাংশ পরিষেবাই অনলাইন মাধ্যমে হয়। টিকিট কাটা, তালিকা তৈরি করা, ওয়েটিং লিস্ট আপলোড করা সবটাই প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের মাধ্যমে হয়।
বিভিন্ন ট্র্যাভেল এজেন্সি বা অনলাইনে টিকিট কেটে দেয় যে সমস্ত সংস্থা তারাও এই প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের মাধ্যমেই কাজ করে। রেল যে বিভিন্ন কাউন্টারে টিকিট দেয় তাও এই প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের মাধ্যমেই করা হয়। ফলে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের আপগ্রেডেশন করতে গেলে এই সমস্ত পরিষেবাই স্তব্ধ হয়ে যাবে। তাই রাতের দিকেই এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
আগামী সাতদিন এই আপগ্রেডেশনের কাজ চলাকালীন অনলাইনে কোনও টিকিট কাটা যাবে না। কোনও টিকিটের স্ট্যাটাসও অনলাইনে দেখা যাবে না। তাই কোনও যাত্রী যদি টিকিট কাটতে চান তা হলে তাঁকে সাড়ে ১১টার আগে টিকিট কেটে নিতে হবে। না হলে ভোর সাড়ে ৫টার পর আবার টিকিট কাটতে পারবেন। তবে সংরক্ষিত টিকিট কাটার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বলবৎ থাকবে।
রেলও সেই নিয়ম মেনেই তাদের বিভিন্ন কাউন্টারে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেনের যে টিকিট, যেগুলি আসন সংরক্ষণের জন্য, তা বিক্রি বন্ধ রাখবে। তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ চাইলে ১৩৯ পরিষেবা পেতে পারেন। অর্থাৎ এই নম্বরে ডায়াল করে ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স সিস্টেম বা আইভিআরএস (IVRS) পরিষেবা পাবেন।
করোনা সংক্রমণের শুরুতে লকডাউনে প্রথমে রেল পরিষেবা পুরোপুরিভাবে বন্ধ থাকলেও, পরে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ধীরে ধীরে কয়েকটি শ্রমিক স্পেশাল ও বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। এভাবেই বছর পার হয়ে গেলেও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি, বেড়েছিল শুধু বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা।
দীর্ঘ ২০ মাস পর ফের সম্পূর্ণরূপে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রক। ট্রেনের পুরনো টাইম টেবিল অনুযায়ীই দেশজুড়ে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা চালু হহচ্ছে। যে ট্রেনগুলি বিশেষ ট্রেন বা শ্রমিক স্পেশাল নামে চলছিল, সেগুলিকেও বাতিল করে, পুরনো টাইম টেবিলের অন্তর্ভুক্ত করেই চালানোর কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। বাড়ানো হচ্ছে না রেলের ভাড়াও। তবে ট্রেনের ভাড়া যেমন বাড়ানো হচ্ছে না, তেমনই আবার টিকিট বাতিল করলে সেই মূল্যও ফেরত দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বস্তির বাসিন্দারা ওই ম্যানহোলের ঢাকনা খুলেছিল, তাতেই বিপত্তি’, দমদমকাণ্ডে দাবি ফিরহাদের