দমদম: ভোট আবহের মধ্যেই বাড়ির সামনে পুকুরে মাটি ফেলা চলছিল। পুকুর অর্ধেক ভর্তিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এসবের নাকি কিছুই জানেন না কাউন্সিলর। আবার যাই জমি, তিনি নাকি জানেনই না পুকুর ভরাই বেআইনি! সংবাদমাধ্যমের মুখে এই প্রথম শুনছেন সে কথা! ঘটনা উত্তর দমদমের বিরাটি খলিসাখোটা এলাকায়।
অভিযোগ, দিনেদুপুরে অবাধে জলাশয় ভরাট চলছিল বিরাটি খলিসাখোটায়। কাউন্সিলরের নাকের ডগাতেই চলছিল এই কাজ। বড় বড় ট্রাক ঢুকছে এলাকায়। বস্তা বস্তা মাটি ফেলা হচ্ছে পুকুরে। অথচ এসবের কিছুই নজরে পড়ে কাউন্সিলরের। পয়লা জুন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। এই ভোটের আবহে এভাবে পুকুর ভরাট হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাও বিস্মিত হন।
খলিসাখোটা অঞ্চলে প্রায় ১ বিঘা জলাশয় ভরাটের কাজ যখন জোর কদমে চলছে, তখন খবর পৌঁছয় সংবাদমাধ্যমের কাছে। গিয়ে প্রশ্ন করা হয় ওই জমির মালিক স্বাগতা দাস বলেন, “আমি ভরাটের মানে বুঝি না। আমি ভেবেছিলাম, অর্ধেকটা ভরে একটা ঘর করলে কিছু করে খেতে পারব। আমরা অসহায় মানুষ। আমরা এত নিয়মের কিছুই জানি না। আমার ছেলেটার লিগামেন্ট ছেঁড়া। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি নিজেই তৃণমূল করি।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয় কাউন্সিলর কি এই ব্যাপারটা জানেন? সঙ্গে সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মী বলেন, “না, না দাদা এই ব্যাপারের কিছুই জানেন না। দাদা আমাদের মাথার ওপর ছাদের মতো থাকেন। আমাদের সব বিপদ আপদে সাহায্য করেন।” পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ওই তৃণমূল কর্মীর ছেলে। তিনি বলেন, “এটা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা। যেহেতু আমাদের নলেজ কম। তাই আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা আর করব না।”
এই বিষয়ের কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তী বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শুনলাম। বন্ধ করে দিয়েছি কাজ। হবে না এই ধরনের কাজ। বলব, পারলে মাটি তুলে নাও। কথা না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” ঘটনাস্থলে দমদম থানার পুলিশ।