TET Agitation: ‘আপনিও জেলে যাবেন’, ব্রাত্যকে সরাসরি নিশানা বামেদের, ২০১৩ টেটে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’র অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 01, 2022 | 4:27 PM

TET Agitation: ব্রাত্য বসুকে পাল্টা দিয়ে ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের বক্তব্য, "বেশি কথা না বলে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিন, নাহলে ওনারও জেলযাত্রা প্রস্তুত।"

TET Agitation: আপনিও জেলে যাবেন, ব্রাত্যকে সরাসরি নিশানা বামেদের, ২০১৩ টেটে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
২০১৪ সালে টেট চাকরিপ্রার্থী

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আন্দোলন করলেই চাকরি নয়। চাকরি হবে যোগ্যতার ভিত্তিতেই। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলেই মত শিক্ষামন্ত্রীর। সোমবার টিভি নাইন বাংলাকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, “আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না। চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে। আন্দোলনের ভিত্তিতে তো চাকরি হয় না।” একদিকে শিক্ষামন্ত্রী এই ধরনের কথা বলছেন, আর অন্যদিকে এখনও চাকরির দাবিতে রাস্তার ধারে বসে আন্দোলনে সামিল চাকরিপ্রার্থীরা। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নট-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরারা পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে। তাঁদের বক্তব্য, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এতদিন তাহলে কী হচ্ছিল? সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, “আমরাও তো সেটাই এতদিন বলছি। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে কি? আজ তো গোটা রাজ্য দেখছে মেধা নির্ধারিত হয়েছে টাকার বিনিময়ে। আমরা এতদিন সেটাই গলা ফাটিয়ে বলে এসেছি। চাকরির পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে হবে কেন? নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। কিন্তু সেটা পর্ষদ দিচ্ছে কই? সেটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরাও চাই যাতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়।”

এদিকে ২০১৪ সালে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনমঞ্চে এদিন পৌঁছে গিয়েছিলেন বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বরাও। কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের বক্তব্য, “শিক্ষামন্ত্রী বলছেন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। যদি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হত, তাহলে আন্দোলন হত না। ওনারা চুরি করেছেন বলেই আজ এই আন্দোলন। যে শিক্ষামন্ত্রী আজ বসে আছেন, ২০১২ সালের নোটিফিকেশনে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ যে টেট হয়েছিল, সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল এবং উনিও জেলে যাবেন। বেশি কথা না বলে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিন, নাহলে ওনারও জেলযাত্রা প্রস্তুত।”

মৌসুমি কয়াল বলেন, “এই আন্দোলন আর কতদিন চলবে। মানুষের সবকিছুর ধৈর্য্যের একটি সীমা থাকে… মানুষের যখন পিঠ ঠেকে যায়, তখনই আমরা রাস্তায় এসে বসতে বাধ্য হই। যাঁরা সাদা পাতা জমা দিয়েছে, তাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরা শিক্ষকতা করছেন। আর যাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। এই ছেলেমেয়েগুলোর জীবন আজ অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। আমরা চাই যোগ্য পদপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হোক।”

Next Article