Jiban Krishna Saha: দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ, ৬০ দিনের মাথায় জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির
ED: এই চার্জশিটে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা টাকা দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁদের বয়ান ওই চার্জশিটে রয়েছে। প্রায় ১২ জনের বয়ান রয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে সিবিআইয়ের চার্জশিটেও কিন্তু একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার নামে চার্জশিট জমা করল ইডি। এসএসসি নবম দশম, একাদশ দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দেড় কোটি টাকার উপরে দুর্নীতি করেছেন জীবনকৃষ্ণ, অভিযোগ ইডির। দুর্নীতির টাকা কেনা হয়েছিল ১২টির বেশি সম্পত্তি, উল্লেখ চার্জশিটে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে জমা পড়েছে চার্জশিট।
যদিও শুরু থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর দাবি, তাঁদের পৈতৃক ব্যবসা রয়েছে। সেই ব্যবসার টাকাই তদন্তকারীরা তাঁদের অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন। সেই টাকাতেই তাঁরা সম্পত্তি কিনেছেন। তবে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছিল ইডি-র তদন্তকারীরা। অবশেষে ৬০ দিনের মাথায় তদন্ত শেষ করে জমা দিয়ে দিল চার্জশিট।
তবে এই চার্জশিটে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা টাকা দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তাঁদের বয়ান ওই চার্জশিটে রয়েছে। প্রায় ১২ জনের বয়ান রয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে সিবিআইয়ের চার্জশিটেও কিন্তু একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। কীভাবে গোটা দুর্নীতি চলেছে তার বিশদ উল্লেখ ছিল। পরবর্তীতে জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতারও অভিযোগ রয়েছে। সেই তথ্য তুলে আনা হয়েছে চার্জশিটে। মোবাইল ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি বাড়ির পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টার অভিযোগও ইডি সামনে এনেছে। এদিকে জীবনকৃষ্ণ যেহেতু বিধায়ক তাই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য একটা অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন। সেই অনুমোদনের জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি লিখেছে ইডি। সেটাও স্পষ্টতই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
