কলকাতা: ইডি হেফাজতে বাকিবুর রহমান। প্রায় ৫৪ ঘণ্টা তাঁর বাগুইআটি কৈখালির আবাসনে অভিযান শেষে শুক্রবার গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে সোমবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদিয়া জেলার কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার ভিত্তিতে ২০২২ সালে ইডি একটি মামলা রুজু করে। বাকিবুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেশনের আটা চুরি করে পরিমাণে তা কম দেওয়া এবং নিম্নমানের আটা সরবরাহ করা। এর আগে নদিয়ায় বাকিবুরের চালকল ও আটাকলেও তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে খবর, আটাকলে তল্লাশিতে প্রচুর সরকারি স্ট্যাম্প ও সিল পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
মূলত ২০১৬ সাল থেকে ফুলেফেঁপে ওঠে বাকিবুরের ব্যবসা। চালকল, আটাকলের পাশাপাশি হোটেল, নার্সিংহোম, শপিংমলেও বাকিবুরের অর্থ আছে বলে মনে করছে ইডি। এর আগে বাকিবুরের সংস্থার বিরুদ্ধে ২০২০ সাল ও ২০২১ সালে দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় রাজ্য পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর আটা উদ্ধার করেছিল।
এমনও ইডির কাছে খবর, এক প্রভাবশালী নেতার হাত ছিল বাকিবুরের মাথায়। আর তাতেই হু হু করে সাফল্যের শীর্ষে উঠতে শুরু করেন বাকিবুর। ২০২২ সালে বাকিবুরের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। আয়কর বিভাগের হানায় কয়েকশো কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। সেই বাকিবুর এবার ইডির জালে। তাঁকে জেরা করে নতুন কোনও দুর্নীতি কি সামনে আসতে চলেছে, উঠছে সে প্রশ্নও। বাকিবুরের এই গ্রেফতারির পর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, তিনি বাকিবুরকে চেনেন না। কোনওদিন দেখেননি।