কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ। আজ সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে প্রায় ৮ ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তাঁর কোচিং সেন্টারের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। ম্যারাথন জেরা শেষে বেরিয়ে তাপসবাবু দাবি করেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কোনও যোগ নেই। ইডিকে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানালেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে। তাঁর আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মাইশোরায়। নব্বইয়ের দশকে কোচিং করতেন তাপস। তারপর কলকাতায় চলে আসেন। কয়েক বছরের কীভাবে এত টাকা রোজগার, বিপুল সম্পত্তি, তার উৎসের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কিছুদিন আগেই তাপসের বারাসতের বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। মহিষবাথানের কোচিং সেন্টারেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তাপসের একটি ওয়েলফেয়ার সোশ্যাইটি ও বিএড কলেজগুলির ভূমিকা নিয়ে সন্ধিহান তদন্তকারীরা।
এর আগে ২০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর আজ ফের ইডি আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন তাপসবাবু। জানা গিয়েছে, কোচিং সেন্টারে পড়ুয়াদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হত, সেই সম্পর্কে তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই তথ্যই তিনি আজ জমা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আজ দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। আজ ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা শেষে তাপসবাবু দাবি করলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর যোগ নেই। তদন্তে সহযোগিতারও আশ্বাস দিলেন। ইডি তাঁর কাছে কী জানতে চেয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি তিনি।