কলকাতা: ফের সারদা, নারদা, রোজভ্যালি সহ চিটফান্ড মামলাগুলির তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে চলেছে ED। এই সমস্ত মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি বৃহস্পতিবারই ED-র কলকাতার জোন-১ -এর দায়িত্বে আনা হল নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর, বিনোদ শর্মাকে। তিনিই এবার চিটফান্ড মামলাগুলির তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার কাজ শুরু করবেন। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি-প্রক্রিয়া বাড়াতেও কলকাতা জোন-২-এর দায়িত্বে নিয়ে আসা হল সুদেশ কুমার শেরওয়ানকে।
ED সূত্রে খবর, ED-র নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর, বিনোদ শর্মাকে যেমন কলকাতার জোন-১ -এর দায়িত্বভার দেওয়া হল, তেমনই গুয়াহাটি-২ জোনেরও দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। চিটফান্ড মামলায় নতুন জয়েন্ট ডিরেক্টর আসায় তদন্তে গতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গতি আনতে যেমন সুদেশ কুমার শেরওয়ানকে কলকাতা জোন-২ এর দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি তিনি ভুবনেশ্বরের দায়িত্বও সামলাবেন।
উল্লেখ্য, সারদা, রোজ ভ্যালি-সহ একাধিক চিটফান্ড মামলার তদন্ত করছে কলকাতা জোন-১। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কলকাতা জোন-২।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিনই শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ অভিযুক্তের শুনানি ছিল সিবিআই আদালতে। তাঁদের জামিনের আবেদন করতে গিয়ে এদিনই চিটফান্ড মামলার স্থবিরতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী। দীর্ঘদিন ধরে চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলাগুলি হিমঘরে চলে গিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। আবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো কয়েকজনকে গ্রেফতার করার দীর্ঘদিন লপরেও জামিন না দেওয়া প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। চার্জশিটে নাম থাকা অনেক অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ কয়েকজন গ্রেফতার করে দীর্ঘদিন হেফাজতে রেখে দেওয়ার পরেও তদন্ত প্রক্রিয়ায় কেন গতি আসেনি, এখনও কেন এঁদের জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী।