কলকাতা: এ রাজ্যেও কি হানা দিয়েছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (Omicron Sub Variant BF.7)? উত্তর খুঁজতে রাজ্যের নজর একমাসের কোভিড পজিটিভ নমুনায়। গত একমাসের সবকটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের কোভিড (Covid 19) মনিটরিং কমিটির তরফে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে ওড়িশা ও গুজরাতে থাবা বসিয়েছে বিএফ.৭। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবারই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠকে করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
প্রতিবেশী ওড়িশায় করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট উঁকি দিতেই ভয় বেড়েছে বাংলাতেও। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠক বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে (Health Department)। কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক বসবে বলে জানা গিয়েছে। তারপরই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সিদ্ধান্তে নতুন করে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য মহলে। পাশাপাশি রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কোভিড এইচডিইউ-আইসিইউ পরিকাঠামো কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহে যাতে সমস্যা না হয়, এদিনের বৈঠকে তা নিশ্চিত করার কথা বলছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সূত্রের খবর, ২৯ তারিখের মধ্যে সব নমুনা যাবে এনআইবিএমজি, এসটিএমে। প্রসঙ্গত, বিএফ.৭-এ সংক্রমিত একজন রোগী একসঙ্গে ১৮-২০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের থাবা আরও চওড়া হলে অচিরেই তা করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের থেকে বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কোভিড বিশেষজ্ঞরা।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বঙ্গবাসীকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপট থেকে বাঁচাতে রাজ্য তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে ২২ ডিসেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত করোনা বুলেটিন বলছে গত ৩৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনার কবলে পড়েছেন ৯ জন। তবে মৃত্যু হয়নি কারও। বর্তমানে রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৯ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে এদিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ হাজার ২৯৩ জনের। এই সমস্ত নমুনাও বিএফ.৭-র খোঁজে যাবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য।