কলকাতা: ৩৮ ঘণ্টা পর বেরোল ইডির দল। রাজারহাট দশদ্রোণ ঘোষপাড়া সোলুয়া এলাকায় অভিষেক বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার বেরোন ইডির আধিকারিকরা। ইডির ৭ জন তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন, ছিলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ২ জন কর্তাও। ইডি সূত্রে খবর, অভিষেকের বাড়ি থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ৫টি দামি মোবাইল ফোন, ৪টি সিমকার্ড-সহ প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, অভিষেকের ব্যাঙ্কে প্রচুর পরিমাণে অর্থের সন্ধান তারা পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এদিন বাগুইআটি কৈখালিতে বাকিবুর রহমানের অভিজাত আবাসনেও ইডি তল্লাশি চালায়। দফায় দফায় বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তদন্তের রেশ ধরেই নতুন কোনও দুর্নীতির খোঁজ মিলেছে বলেও সূত্রের দাবি। বুধবার নদিয়ার একাধিক জায়গায় ইডি হানা দেয়। একাধিক চালকলেও যান তদন্তকারীরা, যান আটাকলেও। চালকলগুলির মধ্যে একটি বাকিবুরের বলে জানা যায়, আটাকলেরও মালিক তিনিই।
এদিকে এই বাকিবুরের হাত ধরেই অভিষেক বিশ্বাস নামে আরেকজনের খোঁজ পাওয়া যায় বলে ইডি সূত্রে খবর। রাজারহাটে তাঁর যে বাড়ি, সেখানেও পৌঁছে যায় ইডির দল। গত দু’দিনে যত হানা, সিংহভাগই খাদ্য সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে রেশন সামগ্রীর সঙ্গে। অভিষেকের মা সাগরিকা বিশ্বাস বুধবারই জানান, কেন এই ইডির তল্লাশি তিনি জানেন না। তবে তিনি জানান, আগে ছেলে খাদ্য বিভাগে কাজ করতেন।এখন বনদফতরে চাকরি করেন। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর বা অভিষেকের সঙ্গে ‘প্রভাবশালী’ যোগ রয়েছে। ৩৮ ঘণ্টা পার করে এই তল্লাশি কি তদন্তে নতুন মোড় যোগ করতে চলেছে, ইঙ্গিত সেদিকেই।