কলকাতা: এক বছরের মধ্যে এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে টেটের (TET 2023) জন্য আবেদনপত্র। গত বছর যেখানে প্রায় ৭ লাখ চাকরিপ্রার্থী টেটের জন্য আবেদন করেছিলেন, এবার তা মাত্র ৩ লাখ ১ হাজার। কী এমন হল, যে এক বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেল টেটের জন্য জমা পড়া আবেদন? এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্য, যেহেতু এবার শুধু ডিএলএড প্রশিক্ষিতরাই অংশগ্রহণ করতে পারছেন, সেই কারণে আবেদনের সংখ্যা অনেকটা কমে গিয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মাঝে বেশ কয়েকটি বছর ধরে টেট পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর গত বছর টেট পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল। সেই কারণে গত বছর টেটের আবেদন অনেকটা বেশি হয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে। আবার একাংশ মনে করছেন, দেখা যাচ্ছে টেট পরীক্ষা দেওয়ার পরও চাকরি মিলছে না। সেই কারণে অনেকে টেটের জন্য আবেদন করছেন না। এই দুটি তত্ত্বের কথাও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। শুনে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, ‘দুই কথারই সারবত্তা রয়েছে।’ অর্থাৎ, চাকরি না হওয়ার কারণে যে টেটের প্রতি আগ্রহ কমছে, সে কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এও জানালেন যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। পর্ষদ কবে নিয়োগ দিতে পারবে, সেই বিষয়েও তাদের থেকে জানতে চেয়েছেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ” ওনারা বলছেন, কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সেটা হয়ত নভেম্বরে চলে যাবে। যে মুহূর্তে ওনারা নিয়োগ দিতে পারবেন, আমার মনে হয় এই ধরনের বক্তব্য কমে যাবে।”