Bratya Basu: অধ্যাপককে তুই তোকারি, চার অক্ষরের কথা বলা কখনও আন্দোলন নয়: ব্রাত্য

সুমন মহাপাত্র | Edited By: Soumya Saha

Oct 12, 2023 | 8:50 PM

Bratya Basu: পড়ুয়াদের একাংশ তাঁদের সঙ্গে খারাচ আচরণ করেছেন বলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন উপাচার্য ও অন্যান্য অধ্যাপকরা। পড়ুয়াদের আচরণে বিরক্ত হয়েই একপ্রকার অবস্থান শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলছেন, যাদবপুরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা 'অনভিপ্রেত'।

Bratya Basu: অধ্যাপককে তুই তোকারি, চার অক্ষরের কথা বলা কখনও আন্দোলন নয়: ব্রাত্য
যাদবপুর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ব্রাত্য
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পরিস্থিতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বুধবার গভীর রাত থেকে প্রতিবাদ-অবস্থান শুরু করেছেন যাদবপুরের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও অন্যান্য অধ্যাপকরা। কর্মসমিতির বৈঠক বানচাল হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশ তাঁদের সঙ্গে খারাচ আচরণ করেছেন বলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন উপাচার্য ও অন্যান্য অধ্যাপকরা। পড়ুয়াদের আচরণে বিরক্ত হয়েই একপ্রকার অবস্থান শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলছেন, যাদবপুরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ‘অনভিপ্রেত’। শিক্ষক-অধ্যাপকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কুকথা বলা, কোনওভাবেই আন্দোলনের পথ হতে পারে না বলেই মনে করছেন ব্রাত্য বসু।

যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “যাদবপুরে কী ঘটছে, তা আমি ভাষা-ভাষা শুনেছি। গণমাধ্যমে দেখলাম। ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু অধ্যাপককে তুই তোকারি করা বা চার অক্ষরের কথা বলা কখনও আন্দোলনের রাস্তা হতে পারে না। আমরাও ছাত্র বয়সে আন্দোলন করেছি। অনেক অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছি। কিন্তু কোনও অধ্যাপককে তুই তোকারি করে প্রকাশ্যে সম্বোধন করা… এটা আন্দোলনের জন্য দরকারি বলে মনে করি না।”

যাদবপুরের পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, সেই নিয়েও ব্রাত্য বসুর সোজাসাপ্টা বক্তব্য, সব ছাত্র স্নেহের যোগ্য নয়। কোনও রাখঢাক না রেখেই বললেন, “এটা ঠিক সব শিক্ষককে যেমন শ্রদ্ধা করা যায় না, তেমন সব ছাত্রকেও স্নেহ করা যায় না। সবাই স্নেহেরও যোগ্য নন। এটা অনভিপ্রেত।”

প্রসঙ্গত, যাদবপুরে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে, তা এককথায় নজিরবিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই শতরঞ্চি পেতে শুয়ে নথি-পত্র ঘাঁটতে দেখা গিয়েছে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। পড়ুয়াদের একাংশের আচরণে বেজায় অসন্তুষ্ট তিনি। বলছেন, “গান পয়েন্টে রেখে তো কোনও কাজ করা যায় না। গায়ের জোর দেখাতে গেলে কখনোই তা অধ্যাপকরা মেনে নেবেন না।”

 

Next Article
Md Selim: তৃণমূলকে না হারালে বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয়, লিখলেন সেলিম; ‘ভোট কাটুয়া’ খোঁচা কুণালের
Bratya Basu: চাকরি না মেলায় টেটে আগ্রহ কমছে? একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ব্রাত্য