কলকাতা: এক বছর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে আবাসন থেকে নগদ প্রায় ৫২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই টাকার পাহাড় দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছিল তদন্তকারীদের অফিসারদেরও। তারপর একে একে তদন্তকারীদের নজরে আসে একাধিক অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমশ বাড়তে থাকে। এবার আরও ২০ কোটি টাকার হদিশ পেল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আরও বেশ কিছু বেআইনি লেনদেন নজরে এসেছে তাদের। দ্রুত সেগুলি ইডি-র হাতে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই দুর্নীতির তদন্তে ১২৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হলে সেই অঙ্ক বেড়ে হবে ১৪৬ কোটি। তবে কার বা কাদের কাছ থেকে এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁদের কাছে বিপুল টাকা হদিশ পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই। মানিকের যে সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে তার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি। এছাড়া কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর টাকার অঙ্ক বেড়ে যায় অনেকটাই।
তবে তদন্ত শেষ হয়নি এখনও। কিছুদিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। আরও অনেকে ইডি-র আতস কাচের নীচে আছে বলে সূত্রের খবর। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই ২০ কোটির মানি ট্রেলের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।