কলকাতা: বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডির (Enforcement Directorate) অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। কিন্তু ওইদিন হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। এবার ফের দিল্লিতে ইডি অফিসে ডেকে পাঠানো হল অনুব্রত-কন্যাকে। আগামী ২ নভেম্বর সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মনীশ কোঠারিকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। আসানসোল সংশোধনাগারেই দিন কাটছে তাঁর।
গরু পাচার মামলার তদন্তে সিবিআই এবং ইডি উভয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই আসরে নেমেছে। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু নথি হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেড নামে একটি সংস্থার মালিকানা রয়েছে সুকন্যার নামে। এই সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসেব ইতিমধ্যেই রয়েছে ইডির স্ক্যানারে। সব হিসেব খতিয়ে দেখতে চান ইডির আধিকারিকরা।
সিবিআইয়ের তরফে সম্প্রতি যে চার্জশিট জমা করা হয়েছে, তাতেও অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সম্পত্তির হিসেবও রয়েছে। চার্জশিটে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই হিসেব বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, ইডির আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সুকন্যার আয়-ব্যয়ের হিসেবের উপর নজর রাখছে। গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত টাকা সুকন্যার সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে সাদা করা হত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে সুকন্যাকে। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। এবার সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আরও নতুন কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না, সেই দিকেই নজর গোয়েন্দাদের।