কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতো ব্যতিক্রমী নিয়োগকে চিহ্নিত করতে ফের একদফা বৈঠক হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) অফিসে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বৈঠক হল। শুক্রবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের আধিকারিক ও আইনজীবীরা এবং সেই সঙ্গে ছিলেন মামলাকারীদের তরফের আইনজীবীরাও। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের ধরে চলে এই বৈঠক। যদিও বৈঠকের পর সন্তুষ্ট নন মামলাকারীদের তরফের আইনজীবীরা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এমনই জানালেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, সুদীপ্ত দাসগুপ্তরা।
মামলাকারীদের তরফের আইনজীবীরা জানান, তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কারণ পর্ষদের তরফে অরিজিনাল স্কোর শীট , মার্ক শীট, ওএমআর শীট-সহ আরও বেশ কিছু নথি দেখতে পারেননি। সেক্ষেত্রে পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়, DPSC-র কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে যা এখনও পর্ষদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। মামালাকারীদের আইনজীবীরা জানান, পর্ষদ ওই নথি দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। আগামী দিনে ফের দু-পক্ষের বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভুয়ো নিয়োগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পর্ষদের অফিসে এর আগেও এক দফা বৈঠকে বসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা এবং মামলাকারীদের আইনজীবীরা। সেটি হয়েছিল ১৭ অক্টোবর। এরপর আবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকের আয়োজন করা হয় পর্ষদের অফিসে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, কতজনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মামলাকারীদের আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। দুই পক্ষকে একসঙ্গে বসে সেই বেআইনি নিয়োগের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর কিছুটা আশাবাদী রাজ্যের আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। এই বৈঠক থেকে আগামী দিনে কোন সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাঁরা।