কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশি চালাতে গিয়ে ইডি অফিসার এমন ফাইল ডাউনলোড করলেন, যার সঙ্গে মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলে অভিযোগ। সেই ১৬ টি ফাইল নিয়ে জট কাটল না এখনও। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও সেই ফাইল পেশ করা গেল না হাইকোর্টে। অভিযোগ, ফাইলের প্রিন্ট আউট নিতে পৌঁছয়নি কলকাতা পুলিশের অফিসার। ফরেনসিক ল্যাবরেটরি অর্থাৎ যাদের ওই ফাইল খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের কেউ না থাকায় তারা প্রিন্ট আউট দিতে পারেনি। আজ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে বলেন যে ওই ফাইল কোনও তদন্তে ব্যবহার করা যাবে না।
ইডি এদিন মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আদালতে। তারা জানিয়েছে, ওই ফাইল ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা তাদের নেই। আগামী৬ সেপ্টেম্বর ওই প্রিন্ট আউট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ইডি-র আইনজীবী এস ভি রাজু জানিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের আধিকারিক অমিতাভ সিনহা ফাইলের প্রিন্ট আউট না নিয়ে অফিস ছেড়ে চলে যান। কলকাতা পুলিশের এই ব্যবহারকের অসহযোগিতা বলে দাবি করে ইডি দাবি করেছে, এ ক্ষেত্রে অবমাননার নোটিস দেওয়া উচিত। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিও জানিয়েছে, দুই পক্ষের অনুপস্থিতিতে তারা ফাইল দিতে পারেনি।
এদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী কিশোর দত্ত এদিন প্রশ্ন করেন, বারবার (অভিষেকের) নাম কেন ব্যবহার করা হচ্ছে? আবার কোনও বিদ্বেষমূলক আচরণ হবে কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এই বিষয়ে প্রতিবার আবেদন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। বিচারপতি ঘোষ বলেছেন, “পরবর্তীকালে মিথ্যে মামলা হতে পারে সেটিও দেখা হবে। আপাতত তদন্তকারী সংস্থা ওই ফাইল ব্যবহার করবে না বলে আশ্বাস দিচ্ছে। আর কোনও নতুন বিষয় আনবেন না।”