কলকাতা: চলে গিয়েছে এক ছেলে, রয়েছে আর এক। সূত্রের খবর, যাদবপুরের (Jadavpur University) মৃত ছাত্রের সেই ভাইয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিতে চলেছে সরকার। একইসঙ্গে তাঁর মাকে সরকারের তরফে একটি চাকরি দেওয়া হবে বলেও ঠিক হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে এমনই। যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন ফের দোষীদের শাস্তি চেয়ে নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবা-মা। এসেছিলেন তাঁদের বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীও। সেখানেই স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে অঝোরে কেঁদে ফেলেন ওই মৃত ছাত্রের বাবা।
দোষীদের কড়া শাস্তি চাইতে চাইতেই বলেন, “একটা ফুলের মতো মতো ছেলে। ফুলটাকে তারা তুলে শেষ করে দিল। বাঁচিয়ে রাখলে বাবা বলে ডাকতে পারতাম। হাত-পা ভেঙে রেখে দিলেও আমরা আমাদের সন্তানকে হারাতাম না। তাকে সম্পূর্ণরূপে মেরে ফেলল। আমাদের বুকটা শুকিয়ে গিয়েছে। আমরা কী করে এখন গোটা জীবনটা থাকব!” প্রসঙ্গত, এদিন আবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তে যাতে কোনও খামতি না থাকে সে কথাও বলেন। একইসঙ্গে দোষীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পান সে বিষয়টিও দেখতে বলেন।
পুলিশ তদন্তে যে তাঁরা খুশি তা বলেন মৃত ছাত্রের বাবা। অন্যদিকে যাদবপুরের মৃত ছাত্রের নামেই নামাঙ্কিত হতে চলেছে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম। তাঁর স্মৃতিরক্ষায় বসতে চলেছে মূর্তি। সূত্রের খবর, সরকারি তরফে ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।