কলকাতা: দু’মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। পুজো মিটতেই এবার এসএসকেএম হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকরা। এদিন প্রথমে তাঁরা হাসপাতাল সুপারের ঘরে যান। এরপর সেখান থেকে যান কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে। সূত্রের খবর, সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
গত ২৩ অগস্ট নিউ আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি হয় কালীঘাটের কাকুর। সেদিনই রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সেই থেকে কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের অধীনে এসএসকেএমে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে রাখা হয়েছে তাঁকে।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, কেন এতদিন ভর্তি থাকতে হচ্ছে তাঁকে, আর কতদিনই বা ভর্তি থাকতে হবে এই বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ খবর করতেই ইডির তদন্তকারীরা প্রথমে সুপারের ঘরে যান। এরপরই কার্ডিওলজি বিভাগে পৌঁছন তাঁরা।
প্রায় দু’ মাসের বেশি হয়ে গেল এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকুর অসুস্থতা নিয়ে ইতিমধ্যেই ইডি রিপোর্ট তলব করেছে। এসএসকেএমের কাছে এই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার বিকালে মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকও হয় বলে সূত্রের খবর। কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধানের ঘরে এই বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, কাকুর অসুস্থতা এখন গুরুতর নয় বলেই মত দিয়েছে বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য।
তবে এসএসকেএম সূত্রে খবর, কাকুর মেডিক্যাল বোর্ডে মনোরোগ চিকিৎসককে যোগ করা হয়েছে। কাকু মাঝেমধ্যেই খাবার খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন না ওষুধ। কেন তিনি এমন আচরণ করছেন, তা জানতেই মূলত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কাকুর মেডিক্যাল বোর্ডে প্রধানত পাঁচ বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন। আছেন কার্ডিওলজি, কার্ডিওথোরাসিক, মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজি ও সাইকিয়াট্রি স্পেশালিটির চিকিৎসকরা।