ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র কম্পিউটারে ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইলে আদতে কোন তথ্য লুকিয়ে? মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 13, 2023 | 11:50 AM

ED: প্রাথমিকভাবে ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি টিম। সেখানেও হস্টেলের কথাই উল্লেখ ছিল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেসময়েই নির্দেশ দিয়েছিলেন ১২ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

ED: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটারে ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইলে আদতে কোন তথ্য লুকিয়ে? মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বুধবারই ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির ‘সিইও’ তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই সংস্থারই অফিসে ডাউনলোড করা ১৬টি ফাইলে লুকিয়ে কোন রহস্য, তা জমা পড়েছে আদালতে। সূত্রের খবর, ওই ১৬টি ফাইলেই রয়েছে কলকাতার সমস্ত হস্টেলের তালিকা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সেই হস্টেলগুলির ঠিকানা হাওড়া-সহ কলকাতা ও শহরতলির একাধিক জায়গার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই সিল বন্ধ খামে কলকাতা হাইকোর্টে হার্ডকপি জমা দিয়েছে সিএফএসএল।

প্রাথমিকভাবে ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি টিম। সেখানেও হস্টেলের কথাই উল্লেখ ছিল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেসময়েই নির্দেশ দিয়েছিলেন ১২ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সেই মোতাবেক মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেন গোয়েন্দারা।

তবে এর আগে ইডি-র তরফ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে জানাতে হয়েছে, ডাউনলোড করা ওই ১৬ টি ফাইল তারা তদন্তের মধ্যে আনবে না। । গত ২১ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোম্পানিতে রাতভর তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরই কোম্পানির এক কর্তা অভিযোগ করেন, কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে, যেগুলি অচেনা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হয়, এক তদন্তকারী অফিসার ওই কম্পিউটারে মেয়ের কলেজের ফর্ম ডাউনলোড করেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এরই মধ্যে তদন্তকারী এক অফিসারের গুয়াহাটির অফিসে যোগ দেন। তা নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। যদিও ইডি অফিসারদের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে অফিসারের গুয়াহাটি যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ২ বছর আগেই ওই অফিসারের গুয়াহাটি বদলি হয়েছিল। তাঁকে পুনরায় আবার সেই স্থানে পাঠানো হয়।

Next Article