Education Policy: জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ বাস্তবায়নের পক্ষে রাজ্য, UGC-র নির্দেশিকা পাঠানো হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত খসড়ায় স্নাতক স্তর ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪ বছর এবং স্নাতকোত্তর স্তর ২ বছর থেকে কমিয়ে ১ বছর করা হয়েছে।

কলকাতা: কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল রাজ্য। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) ‘তুঘলকি’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার একেবারে উল্টো পথে হেঁটে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের পক্ষে পদক্ষেপ করল রাজ্য। UGC-র নির্দেশিকা পাঠানো হল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতির একাধিক নিয়ম মানতে হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছ রাজ্য। মূলত নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ক্রেডিড বেসড সিস্টেম প্রয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর (Education Department)। যার মধ্যে রয়েছে ৪ বছরের স্নাতক স্তর। এছাড়া পাঠ্যক্রমেও পরিবর্তন আনার কথা বলে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
যদিও যে শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য প্রথম থেকে বিরোধিতা করে এসেছে, এমনকি রাজ্যের তরফে জাতীয় শিক্ষানীতির পরিবর্তে নয়া শিক্ষানীতি তৈরির নীল নকসাও করা হয়েছিল, তারপরেও হঠাৎ করে কেন রাজ্য পিছু হটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কী রাজ্যের শিক্ষানীতির নীল নকসায় কোনও ফাঁক ছিল নাকি জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু অংশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য?- এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গতবছর তৈরি নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত খসড়ায় স্নাতক স্তর ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪ বছর এবং স্নাতকোত্তর স্তর ২ বছর থেকে কমিয়ে ১ বছর করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রেডিড বেসড সিস্টেম প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্নাতকস্তরেই গবেষণার সুযোগ দিতে হবে। ৪ বছরের স্নাতকস্তরের কোনও পড়ুয়া যদি কোনও বিষয়ে গবেষণা করতে ইচ্ছুক হন, তা হলে তাঁকে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রোজেক্ট বাছাই করতে হবে। অনার্স ডিগ্রির পাওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে গবেষণা করবেন এবং স্পেশালাইজেশন করবেন সেই পড়ুয়া। অন্যদিকে, চার বছরের স্নাতকরা পিএইচডির জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এর জন্য অবশ্য সেই পড়ুয়ার ন্যূনতম সিজিপিএ ৭.৫ হতে হবে।
কিন্তু, হঠাৎ করে নয়া শিক্ষানীতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বাস্তবে সমস্যাও রয়েছে। স্নাতক স্তর ৪ বছরের হলে এবং গবেষণা চালু হবে যেরকম কাঠামো এবং যে সংখ্যক শিক্ষকের প্রয়োজন, তার সমস্ত কলেজে নেই। ফলে নতুন শিক্ষানীতি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রয়োগ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।





