কলকাতা: নিয়োগ মামলায় আরও একবার আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্য়ের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। সুপার নিউমেরারি পোস্টে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মণীষ জৈনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীস ও বিচারপতি পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের সেই আবেদন। শুধু তাই নয়, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এক দায়িত্ববান অফিসার হয়ে কেন তদন্তে সাহায্য করবেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত।
এদিন রাজ্যের করা মামলায়, ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি একদন দায়িত্ববান অফিসার, আদালতকে সাহায্য করা তাঁর কর্তব্য। রাজ্য কেন বিরোধিতা করছে বোঝা যাচ্ছে না। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বহাল থাকছে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও। ‘অযোগ্য’দের জন্য কেন সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল, তা নিয়েই মূলত প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই পোস্ট তৈরি করার বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি ডিভিশন বেঞ্চও। পাশাপাশি, সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের মত, বিচারপতি যখন বুঝেছেন, তখন নিশ্চয় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
আদালত কি সরাসরি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে ডাকতে পারে? এই প্রশ্নই তুলেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই সব যুক্তিই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টের পর মামলার রায় দেওয়া হয়েছে, তাই এদিন আর হাজিরা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে হাজির হতে হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
অতিরিক্ত শূন্যপদে অযোগ্যদের পুনর্বহালের আবেদন করেছিল এসএসসি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি-র কাছে হলফনামা তলব করে জানতে চান, কার নির্দেশে অযোগ্যদের পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছে তারা। এসএসসি-র তরফে স্পষ্ট করা হয়, এই সুপারিশ তাদের নয়। প্রশ্ন ওঠে, যদি এসএসসি এই সুপারিশ না করে থাকে, তাহলে এর নেপথ্যে কে রয়েছেন? সেই উত্তর চেয়েই শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, এই পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেন বিচারপতি।