কলকাতা: মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। মোট ৩৬ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে এবার মাধ্যমিকে। ৩৭টি মোবাইল টোটাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই মালদা জেলায়। পর্ষদ জানাচ্ছে, অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই শণাক্ত করা হয়েছে। সোমবার পর্ষদ সভাপতিকে পাশে বসিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা কেউই পড়ুয়া নয়। তাঁর কথায়, ‘একটি চক্র রয়েছে।’ এরপরই বলে উঠলেন, ‘জামতাড়া… জামতাড়া’
ব্রাত্য বসু জানালেন, ‘পুরোটাই পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশের থেকে এখনও পুরো রিপোর্ট আসেনি। পুলিশ শুধু জানিয়েছে, একটা গ্যাং এটা করেছে। তারা পরীক্ষার্থী নয়। মালদায় অন্য রাজ্যের সীমানা আছে। অন্য রাজ্যের থেকে কোনও লোক আসতেই পারে।’ কেন এই ধরনের কাণ্ড ঘটানো হল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে? শিক্ষামন্ত্রীর সন্দেহ, এর নেপথ্য অবশ্যই একটি ফ্যাক্টর থাকতে পারে টাকা। তাঁর সন্দেহ, এরা দেখাতে চাইছিল যে এরা প্রশ্ন বিক্রি করে, এদের কাছে প্রশ্ন পাওয়া যাবে। বললেন, ‘এরকম একটি উদ্দেশ্য নিয়েই এরা শুরু করে। আর একইসঙ্গে সরকারকেও বদনাম করা যাচ্ছিল।’
যদিও সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীকে এই জামতাড়া গ্যাং-এর মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি কি শুধুই বোঝানোর জন্য বললেন জামতাড়ার কথা? নাকি সত্যি সত্যিই এই ঘটনার সঙ্গে জামতাড়ার কোনও লিঙ্ক রয়েছে? প্রশ্ন করায় শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য ব্যাখ্যা দিয়ে রাখলেন, ‘আমি এটা শুধুই একটি উদাহরণ হিসেবে বলেছি। এটি একটি প্রতীকী উদাহরণ।’