কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Rabindra Bharati University) নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জোরদার চাপান-উতর চলছে শিক্ষা মহলে। এদিকে সম্প্রতি নিজের ক্ষমতা বলে বীন্দ্রভারতীতে সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর জায়গায় নতুন উপাচার্য হয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়( Governor Jagdeep Dhankhar)। এবার তা নিয়েই তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। যা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিল। যদিও তাতে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল। রাজ্যের শাসক শিবিরের অভিযোগ ইচ্ছা করেই এবারের বাদল অধিবেশনে পাশ হওয়া একাধিক বিল ফেলে রেখেছেন রাজ্যপাল। এমনকী যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আচর্য পদ নিয়ে বিধানসভায় পাশ হয়েছে বিল তারপরেও রাজ্যপাল কী করে রবীন্দ্রভারতীর নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেন? এ প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। এদিকে এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য বসু।
— Bratya Basu (@basu_bratya) July 2, 2022
টুইটে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘বিধানসভায় বিল পাশের কারণে গত ৩০ জুন ২০২২ তারিখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে ২৫ জন উপাচার্য নিয়োগের পদ্ধতি নিয়েও সুর চড়ান। প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে। যা নিয়েই জোরদার চর্চা চলছে শিক্ষা মহলের অন্দরে। এদিকে বরীন্দ্রভারতী অ্যাক্ট ১৯৮১ অনুযায়ী মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে এখনও প্রশাসনিক ভাবে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রয়েছেন রাজ্যপালই। বিল পাশ হলেও এখনও প্রশাসনিক নিয়মেই আচার্যের ক্ষমতা নেই রাজ্যপালের হাতে। এমতাবস্থায়, আচার্য ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।