কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডের জেরে গত একমাস ধরে রাজ্য জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ছবি দেখা গিয়েছে। গত ১৪ অগস্টের পর ৪ সেপ্টেম্বর, ফের রাতভর আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সমাজের প্রায় সব স্তরের মানুষ। এছাড়াও কোথাও শিল্পী, কোথাও চিকিৎসক, কোথাও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নিজেদের মতো করে আন্দোলনে নামছেন, বিচার চেয়ে পথ হাঁটছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দায়িত্ববান। সেই প্রতিটি প্রতিবাদের সঙ্গেই তাঁর স্বর মিশে আছে বলে দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার জেরে এই বছর অনাড়ম্বর শিক্ষক দিবস পালন করছে শিক্ষা দফতর। ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘যেভাবে আমাদের বাড়ির মেয়েকে হারিয়েছি, তাতে আড়ম্বর মানায় না।’ আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে এই প্রতিবাদ সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ের কথা উল্লেখ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “এই ঘটনা নিন্দনীয়। এর প্রতিবাদ আমিও করেছি। অনেকেই করেছেন। তবে নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুরের সময় আমার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। ২০১১ থেকে একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে।”
প্রতিবাদে কতটা সমর্থন আছে? এই প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু বলেন, যারা প্রতিবাদ করছে, আমার স্বর তাদের সঙ্গে আছে। তবে প্রশাসনের অঙ্গ বলেই কি প্রতিবাদ করতে পারছেন না তিনি? ব্রাত্যর কথায় মিলল তেমনই ইঙ্গিত। তিনি বলেন, “আন্দোলনে অনেকেরই আঙুল প্রশাসনের দিকে উঠছে। আমি তো প্রশাসনের অংশ। আমি কী করে নিজেই নিজের দিকে আঙুল তুলব! সেটা তো দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় হবে।”
ব্রাত্যর দাবি, সবাই আন্দোলন করলেই হবে না। প্রতিবাদের ভাষা শোনারও লোক লাগে। মন্ত্রী বলেন, “আমরা শুনছি। কিছু লোককে তো শুনতে হবে, বুঝতে হবে। আইন তৈরি করতে হবে। যারা আন্দোলন করছে, তারা দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিচ্ছে। আমরা শোনার মাধ্যমে দায়িত্বপালন করছেন।”