কলকাতা: সৌদি আরবে রয়েছেন প্রার্থী। কিন্তু, তাও জমা পড়েছে তাঁর মনোনয়নপত্র। কিন্তু, কী করে তা সম্ভব? এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশও করতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। কী করে এটা হতে পারে তা ভেবেই বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৪ জুন সৌদি আরবে হজ করতে গিয়েছেন বসিরহাটের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজঝল গ্রামের বাসিন্দা মইনুদ্দিন গাজি। কিন্তু, তিনিই আবার এবার তৃণমূল থেকে দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার নির্বাচনে। এদিকে মনোনয়ন পর্বে তিনি দেশেই ছিলেন না। বিরোধীদের দাবি, তাঁর হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তাঁর এজেন্ট। এদিকে কমিশনের নিয়ম বলছে, কেউ এজেন্ট দিয়ে মনোয়নপত্র পাঠাতেই পারেন কিন্তু, সম্পত্তি-সহ যাবতীয় বিষয়ের ডিক্লারেশন ফর্মে সই করতে হয় প্রার্থীকে। বিডিও তথা রিটার্নিং অফিসারের সামনে সশীরের উপস্থিত থেকে সেই সই করতে হয়।
বিরোধীদের দাবি, প্রার্থী তো দেশে নেই? তাহলে সইটা করল কে? অন্য কেউ সই করলেও তা কী করে নজর এড়াল রিটার্নিং অফিসারের? আদালতে শুনানির সময়েও এই প্রশ্ন করতে দেখা গিয়েছিল মমলাকারীর আইনজীবীকে। এই কাণ্ডের কথা শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। খানিক অবাক হওয়ার সুরেই বলেছিলেন, নির্বাচনী আধিকারিকরা দেখলেনই না আদৌ প্রার্থী সেখানে এসেছেন কিনা! যদিও এখন কমিশনের যুক্তি প্রচুর লোক মনোনয়ন জমা দেয়। একজন রিটার্নিং অফিসারের পক্ষে সবটা খুঁটিয়ে দেখা সম্ভব হয় না। যদিও মিনাখাঁর বিডিওকে শোকজ করা হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল বুধবার থেকে। সূত্রের খবর, তবে এ বিষয়ে কমিশনের নতুন সিদ্ধান্তের কথা পরবর্তী শুনানিতে হাইকোর্টে জানিয়ে দেবে কমিশন।