কলকাতা: ভোটের আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল। ডিজি হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই রাজীব কুমারকে নির্বাচনের সমস্ত কাজ থেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী ডিজি হতে পারেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। এর আগে ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে কলকাতার সিপি-র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল সৌমেন মিত্রকে। বাংলায় গত তিনটে সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই একই ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস রাজীব কুমারকে সরিয়ে সৌমেন মিত্রকে সিপি পদে বসানো হয়েছিল। সেসময়ে বাম থেকে বিজেপি সকলেই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডিজিপি অনুজ শর্মার বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয় একইভাবে। তাঁর বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয় ড. রাজেশ কুমারকে। ২০২১ সালেও ডিজিপি বীরেন্দ্রের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। তাঁকে অপসরণ করা হয়েছিল। প্রত্যেকটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ডিজিপি, পুলিশ কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ, যাঁরা সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে কাজ করেন, যাঁদের নির্দেশের ওপর অনেকাংশেই নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে, নির্বাচন কমিশন অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করেছে।
পরবর্তী ডিজি কে? এক্ষেত্রে আরও তিন জনের প্যানেল রয়েছে। তাতে চার আধিকারিকের নাম আরও জোরাল ভাবে চর্চায় উঠে আসছে। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস ডিজি রেল দেবাশিস রায়। এছাড়াও ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস রণবীর কুমার, যিনি প্রশাসনিক FSL পদে রয়েছেন, আর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশকে নিয়েও চর্চা চলছে। নবান্নের কাছে তিন জনের নাম চেয়েছে কমিশন। সন্ধ্যার মধ্যে আরও তিনজনের প্যানেল চাওয়া হয়েছে নবান্নের কাছে থেকে।