Election Commission: মুখ্যসচিবকে ৩ নম্বর চিঠি, চার অফিসারকে বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে এবার ডেডলাইন বেঁধে দিল কমিশন
Election Commission: প্রথম বার যখন চিঠি করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে, তখন একটি লাইনে 'ASAP' শব্দটি উল্লেখ করা ছিল। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেটাও জানানোর নির্দেশ ছিল। কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরও কোনও উত্তর না আসায় ফের চিঠি করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে মুখ্যসচিবকে সেই উত্তর দিতে হবে।

কলকাতা: ভোটে কারচুপির অভিযোগ। কিন্তু এখনও কেন চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়? এবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেডলাইন বেঁধে দিল কমিশন। দুই ERO ও দুই AERO-র বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যেই জানাতে হবে মুখ্যসচিবকে। এখনও কেন নির্দেশ কার্যকর হয়নি, জানতে মুখ্যসচিবকে আরও একবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, প্রথম বার যখন চিঠি করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে, তখন একটি লাইনে ‘ASAP’ শব্দটি উল্লেখ করা ছিল। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেটাও জানানোর নির্দেশ ছিল। কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরও কোনও উত্তর না আসায় ফের চিঠি করে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে মুখ্যসচিবকে সেই উত্তর দিতে হবে।
ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার AERO তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই ঘোষণা করেছিলেন, কারোর বিরুদ্ধেই কোনও পদক্ষেপ করতে দেবেন না তিনি। ‘জীবন দিয়ে আগলে’ রাখার বার্তাও দিয়েছিলেন। ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।” এদিকে, কমিশনের এই তিন নম্বর চিঠি পর সংঘাত যে আরও চরমে উঠল, তা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

