কলকাতা: প্রথম দফায় ভোটের আগে আরও বাহিনী রাজ্যে আসবে কিনা, তা নিয়ে ‘সংশয়ে’ কমিশন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি এসেছে। প্রত্যেক রাজ্যকে বাহিনী কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বৈঠকে বসেছেন নির্বাচনী কমিশনের আধিকারিকরা। এদিকে, শনিবারই রাজ্যে আসছেন কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক। কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বৈঠক করবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বাংলায় ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী এসেছে। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বেশ কয়েক কোম্পানি বাহিনী চলে এসেছিল বাংলায়। সে সময়ে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেছিল, হয়তো এবারের নির্বাচনে বাংলাকে বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছে কমিশন।
বাংলার প্রতি বুথে বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে যে গুলো বেশি স্পর্শকাতর বুথ, সেগুলিকে বিশেষ নজর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ৫ হাজার ৮১৪ বুথে আগামী ১৯ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হয়, তাহলে সংখ্যাটা সাড়ে তিনশো কোম্পানি ছাড়াবে।
অতি সম্প্রতিই মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, জম্মু কাশ্মীরের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করতে চায়। যেহেতু গোটা দেশে এক সঙ্গে ভোট, আর প্রথম দফা ভোট এপ্রিলেই। সেক্ষেত্রে বাহিনী নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সিইও রাজীব কুমার আগেই বলেছিলেন, বাংলায় নির্বাচন নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠ্ভাবে সম্পন্ন করাই একমাত্র লক্ষ্য। আর সেক্ষেত্রে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রের পুরো দায়িত্ব থাকতে রাজ্য পুলিশের ওপরেও। কিন্তু প্রথম দফার আগেই বাংলায় বাহিনী নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।