কলকাতা : জমে উঠেছে গঙ্গাসাগর কিন্তু পৌষ শেষে শীতের (Winter) দফারফা। হাওয়া অফিস (Weather Updates) বলছে হাওয়া বদলের নেপথ্যে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। বঙ্গোপসাগরে রয়েছে উচ্চচাপ বলয়। আর সে কারণেই দুর্বল হয়েছে উত্তরে হাওয়ার গতি। ঝঞ্ঝা সরে গেলে কি রয়েছে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা? উত্তরে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারছেন না আবহওয়াবিদরা। উল্টে মাঘের শুরুতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। বুধবার হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা ও হাওড়ায়। তবে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ধীরে ধীরে খানিকটা কমতে পারে তাপমাত্রা। কিন্তু, তা কখনওই স্বাভাবিকের নীচে নামবে না বলে জানা যাচ্ছে। উল্টে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় ঘন কুয়াশায় ব্যাহত জনজীবন। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গনেশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা হয়তো দু এক ডিগ্রি কমবে। কিন্তু, এতটা কমবে না যে তা একেবারে স্বাভাবিকের নীচে নেমে যাবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এই পারাপতন বেশি অনুভব করা যাবে। যেহেতু উচ্চচাপ বলয় রয়েছে সে কারণে বুধবার নাগাদ হালকা বৃষ্টি হবে কিছু জেলায়। এদিকে কুয়াশার দাপটে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বন্ধ হয়ে গিয়েছে লঞ্চ পরিষেবা। কোথাও কোথাও দেরিতে চলছে। ইতিমধ্যেই কুয়াশার কারণে কাকদ্বীপের বন্ধ হয়েছে ফেরি পরিষেবা। সূত্রের খবর, কাকদ্বীর লট নম্বর ৮ থেকে কুচুবেড়িয়া এবং নামখানা থেকে চেমাগুড়ি পর্যন্ত ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন গঙ্গাসাগরগামী পুণ্যার্থীরা।
অন্যদিকে সঙ্কট তৈরি হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে বিমান চলাচলে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। যারজেরে বিমান ওঠানামায় ব্যাপক হচ্ছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। দেরিতেও চলছে কিছু বিমান। বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে প্রযুক্তিগত ভাবে ক্যাট ৩ আলোর ব্যবহার করা হচ্ছে।