কলকাতা : বামেরা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আগেই। বেশির ভাগ আসনে তারা নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে চায় বলেই জানিয়েছে। এবার কংগ্রেসের পালা। শনিবার সকাল থেকেই বৈঠক চলছে। আজই প্রকাশ হবে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা। সূত্রের খবর, ১১০-১২০ টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে কংগ্রেস। এ দিকে ১৭ টি আসন ছেড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। তাই পুরভোটে বেশির ভাগ আসনেই বাম ও কংগ্রেস মুখোমুখি লড়াই হবে বলে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছে কংগ্রেস, যার চেয়ারম্যান নেপাল মাহাতো। আজ সেই কমিটির বৈঠক চলছে। জানা যাচ্ছে, বেশির ভাগ আসনেই বামেদের মতোই শক্তি পরীক্ষা করতে চায় কংগ্রেসও। অধীর চৌধুরী আগেই জানিয়েছেন, কারও দয়া- দাক্ষিণ্যে জোটের পথে যাবেন না তঁরা। তিনি বলেছিলেন, আমাদের স্বাধীন ভাবনা আছে, স্বাধীন চিন্তা আছে। আমাদের যেখানে জেতার ক্ষমতা আছে, সেখানে প্রার্থী দেব। অন্যদিকে, ১৭ টি আসন অন্য দলকে সমর্থন করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলেও কংগ্রেসের নাম নেয়নি বাম। জোটের কথাও বলেনি তারা। বামেদের দাবি, ওই আসনগুলিতে বামেদের ফল ভালো করার সম্ভাবনা নেই, তাই সেখানে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে না।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, ভোটের আগে জোট না হলেও ভোট- পরবর্তী জোট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না বাম শিবির। গত কাল প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বামফ্রন্টের কলকাতা জেলার আহ্বায়ক কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘বামফ্রন্ট আগে নিজস্ব শক্তির ভিত্তিতে কোথায় কোথায় লড়তে পারবে, তা স্থির করা হয়েছে। সব জায়গায় সংগঠন শক্ত নয়। সেখানে দাঁতে চেপে লড়াই করব। আমাদের দলের যে রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হয়েছে. সেই শক্তিকে ধরে রাখার জন্য কোথাও কোথাও আমরা শক্তি পরীক্ষা করব।’ তবে ঐতিহ্য়গতভাবে কোথাও কোথাও শক্তি কম থাকায়, সেখানে প্রার্থী দিলে আসন ভাগ হওয়া ছাড়া আর কিছু হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাই এমন ১৫-১৬ টি আসন বেছে নেওয়া হয়েছে যেখানে আদর্শগত বা অন্যান্য অনেক পার্থক্য থাকলেও কোনও দলের লক্ষ্য যদি তৃণমূল বা বিজেপিকে হারানো হয়, তাহলে সেখানে ওই দলকে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করবে বামেরা।
আরও পড়ুন: ‘বামেদের যেন মতিভ্রম না হয়’, তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে আবেদন ক্ষিতি-কন্যার