কলকাতা : সশরীরে না থেকেও এবারের পুরভোটে থেকেই গেলেন তিনি। কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে অমলিন চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ইচ্ছাকেই মর্যাদা দিল দল। প্রয়াত নেতার অপছন্দের তালিকায় থাকা কাউন্সিলর বা কাউন্সিলর পদ প্রত্যাশীদের টিকিটই দিল না দল।
তাঁর বিধানসভা অঞ্চলের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর কে নিয়ে অখুশি ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কারও বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ছিল দুর্নীতির, কারও বিরুদ্ধে উপদলীয় কার্যকলাপ, আবার কারও বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। এই নিয়ে বছর দুয়েক আগে দলকে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মাঝে লকডাউনের জেরে পুর ভোট বিলম্বিত হয়। এরপর যখন আবার পুর ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়, তখন আবারও নিজের আপত্তির কথা লিখিত ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান সুব্রত। সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়েই বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তিন ওয়ার্ডের প্রার্থী বাছাই করল দল।
সুব্রতর আপত্তি ছিল ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে। তেমনই ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাইজার জামিলকে নিয়েও আপত্তি ছিল। এ দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইকবাল আহমেদের বদলে যখন প্রার্থী খোঁজা হচ্ছিল, সেই সময় বিজলী রহমান নামের এক ব্যক্তি দৌড়ে ছিলেন। তাঁকে নিয়েও আপত্তি জানান সুব্রত।
শুক্রবার কালীঘাটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠকে বসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের দাবি, বৈঠকের শুরুতেই প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আপত্তির কথা তোলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই আপত্তিকে মর্যাদা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। এরপরেই ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রতর বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রতর আশীর্বাদ ধন্যা শাম্মী জাহান (যিনি দীর্ঘ দিনের পুরনো কংগ্রেস কাউন্সিলর ) এবং ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে মহম্মদ ইয়েজুজুর রহমানকে প্রার্থী করল দল।
আরও পড়ুন : মাজারে গিয়ে চাদড় চড়ালেন শিশির অধিকারী, ‘শুভেন্দু বাবুর কথা ভুলে গেলেন!’ প্রশ্ন শাসকদলের