কামদুনি: শুক্রবার রায় শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। চারজন আসামীর বেকসুর খালাসের খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে কামদুনি গ্রামের আনাচে-কানাচে। খবরটা আসার পর থেকেই একদিকে যেমন বিচারব্যবস্থা এবং রায় নিয়ে ফুঁসছে কামদানিবাসী, ঠিক সেরকমই ভয়-আতঙ্ক গ্রাস করেছে কামদুনির মানুষের মনে। সূর্য অস্ত যেতেই ঘন অন্ধকারে ঢেকেছে কামদুনি, অন্ধকারে রাস্তায় বের হতেই ভয় পাচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। গ্রামের একাধিক জায়গায় বৈদ্যুতিক বাতির স্তম্ভ। আছে কিন্তু অধিকাংশই অকেজো, লাইট থাকলেও সেই আলো জ্বলে না।
যে চারজন আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন তারা নাকি আগেও গ্রামের মানুষের প্রতি অত্যাচার করেছে, এমনও বলছেন কেউ কেউ। দিন ঘনিয়ে সন্ধ্যা নামতেই এক অন্য রকম চেহারা গোটা গ্রামের। আচমকায় রাস্তা দেখা যাচ্ছে না কোনও মানুষকে। পথঘাট শুনশান, গুটি কয়েক মানুষের যাওয়া-আসা, তবে প্রত্যেকের মুখেই আতঙ্কের ছাপ। দশ বছর পরে গণধর্ষণের কামদুনি এখন যেন আতঙ্কের কামদুনি। টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল যাঁরা ঘটনার সময় প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন তাঁদের মুখেও এখন আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। নতুন করে প্রতিবাদ তো করছেন! কিন্তু, এর মাশুল দিতে হবে না তো! এটাই এখন প্রশ্ন সকলের মনে। হামলার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
যে জায়গায় সেই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে সেই তল্লাটে এখন ঘোর অন্ধকার। বাতি স্তম্ভ থাকলেও, সবই অকেজো। কামদুনি মোড় থেকে বিডিও অফিস যাওয়ার যে রাস্তা সেই রাস্তা কার্যত শুনশান, অন্ধকারে ঢাকা। প্রসঙ্গত, আদালতের রায়ের পর থেকেই নতুন করে কামদুনি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ঘোলা হচ্ছে জল। একদিন আগেই একইসঙ্গে কামদুনিতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিদের। সেখান থেকেই প্রয়োজনে বিজেপির তরফে কামদুনির আতঙ্কিতদের বেসরকারিভাবে নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস দেন সুকান্ত। এমনটাই খবর সূত্রের।