কলকাতা: আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে আহত হলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। মঙ্গলবার বিকেলে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে চাপেন মানিক। প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) যাওয়ার পথেই তিনি আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, তাঁর মুখে, বুকে ও মাথায় আঘাত লেগেছে। তবে আঘাত কতটা গুরুতর তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন সকাল থেকেই কার্যত মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল মানিককে। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ সামনে এসেছে, তা নিয়ে এদিন সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, এদিন প্রিজন ভ্যানে যখন মানিককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় আচমকা সামনে অন্য কোনও গাড়ি এসে যাওয়া ব্রেক কষেন ভ্যানের চালক। ভ্যানের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে যান মানিক ভট্টাচার্য। আর তাতেই আঘাত লাগে মানিকের। তাঁর সঙ্গে কথা বলে, তার সম্মতি নিয়েই প্রিজন ভ্যান পৌঁছয় প্রেসিডেন্সি জেলে। তড়িঘড়ি তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসকেরা দেখছেন তাঁকে। আঘাত কতটা তা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও সূত্রের খবর।
এদিন আদালতে তোলা হলে, কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মানিক ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “যাঁরা বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসি দিয়ে দিক। আমি কারাগারে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি।” পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মানিক বলেন, আমার লন্ডনে বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই। থাকলে,আমাকে ফাঁসির শাস্তি দেওয়া হোক। এই বলেই প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন তিনি। তবে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে, তা এড়িয়ে যান তিনি।