AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Private B.Ed. Colleges: বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে সত্যিই কি দুর্নীতি? কী বলছেন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়?

Vice Chancellor Soma Banerjee: সম্প্রতি যে জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়েছে, সেখানে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

Private B.Ed. Colleges: বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে সত্যিই কি দুর্নীতি? কী বলছেন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়?
কী বলছেন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়?
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 7:57 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যে বেসরকারি বিএড কলেজের (Private B.Ed. Colleges) সংখ্যা ৬০০। সরকারি কলেজ সেই অর্থে প্রায় হাতে গোনা। মাত্র ২৩টি। আর এই ৬০০টি বেসরকারি কলেজের পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। ইডি ও সিবিআই দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানানো হয়েছে। যখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেল হেফাজতে রয়েছেন, তখন ফের এমনই এক অভিযোগ। আর যে জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়েছে সেখানে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

টিভি নাইন বাংলায় এক একান্ত সাক্ষাৎকারে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন উপাচার্য। জনস্বার্থ মামলার বিষয়টি একটি বিচারাধীন হওয়ার কারণে সেটি নিয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি। তবে আদালতের উপর যে তাঁর আস্থা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে যে কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা সব প্রকাশ্যে আসবে সেকথা জানালেন নিজেই। বললেন, “আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ থেকে আছি। প্রায় পাঁচ বছর শেষ হতে চলল। আর কয়েক মাস বাকি আছে আমার মেয়াদ শেষ হতে। এই পাঁচ বছরে এত টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে, তা এখন এসে হল? যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে একটা এফআইআর পর্যন্ত হল না আমার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে? সেই কারণে এটি আমার কাছে খুব অদ্ভুত ব্যাপার।”

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তিনি একজন সেনা আধিকারিকের মেয়ে। তাঁর বাবা সারাজীবন দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। সোমা দেবীর শ্বশুরমশাইও অর্থনীতির লোক। অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল ছিলেন তিনি। উপাচার্য বলছেন,”আমি তাঁদের পরম্পরাটাই বহন করে চলছি।”

দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগকে কার্যত অস্বীকার করে তাঁর সোজাসাপ্টা বক্তব্য, “আমার অর্জিত সম্পত্তি বলতে দুটি জিনিস। প্রথম হল বই এবং দ্বিতীয় হল বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া বিভিন্ন সম্মাননা। যে বাড়িতে থাকি, সেটিও আমার শ্বশুরমশাইয়ের তৈরি।” উপাচার্যের সন্দেহ, সর্বভারতীয় স্তরে শিক্ষাবিদ হিসেবে তাঁর যে সম্মান ও সুনাম রয়েছে, সেটি নষ্ট করার জন্যই মেয়াদ শেষের কালে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অন্যথায় এতদিন পরে কেন অভিযোগ? সেই উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। বলছেন, “যদি কেউ মনে করেন, এটা বলে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হবে, তাহলে তাঁরা চেষ্টা করুন। নিশ্চয়ই কারও কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে এর পিছনে।”