
শ্রাবন্তী সাহা: স্রোতের বিরুদ্ধে কেবল ‘ওরা’ তিন জন। সারা বাংলা, গোটা-বিশ্ব যখন সরব চরমতম নৃশংস, ন্যক্কারজনক, বিভৎস ঘটনায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে, তখন ওঁরা তিন জন ধর্ষক সঞ্জয় রায়ের হয়ে মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কলকাতা পুলিশ থেকে সিবিআইয়ের তদন্তে সঞ্জয়ই একমাত্র অভিযুক্ত। তাকে নির্দোষ প্রমাণ করা আর সাঁতরে প্রশান্ত মহাসগার পার করা একই ব্যাপার। তারপরও ওই তিন জন কেন মামলাটা লড়তে চাইলেন? এমনটা নয়, এই মামলার গভীরতা তাঁরা জানেন না! প্রথম থেকেই যার কম্পনাঙ্ক সিসমোগ্রাফ ছাড়িয়ে একটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে, সেই মামলা হাতে নেওয়া কি চাট্টিখানি কথা! গত সোমবার সর্বোচ্চ সাজা শোনাতে গিয়ে শিয়ালদহ আদালতের ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাসের কলম আটকে গিয়েছিল। তাঁর মনে হয়েছে, এই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়। সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দেওয়া উচিত হবে না। আমৃত্যু কারাদণ্ড শুনিয়েছিলেন বিচারক। সিবিআই যেখানে ফাঁসি চাইছে, রাজ্য ফাঁসি চাইছে, তিলোত্তমার...