কলকাতা: নবান্ন অভিযানে নামছে বিজেপি। ১৩ সেপ্টেম্বরের সেই অভিযানের জন্যে গেরুয়াশিবির বিপুল খরচ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির নবান্ন অভিযানের খরচের হিসাব দিয়ে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে নবান্ন অভিযানের জন্যে ১১ কোটি টাকা খরচ করছে পদ্মশিবির। এই ১১ কোটির মধ্যে কোন খাতে কত টাকা খরচ করা হবে তারও হিসাব দেওয়া হয়েছে জাগো বাংলার প্রতিবেদনে। বিজেপি সূত্রেই সেই খরচের হিসাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সেখানে আরও দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৭ সেপ্টেম্বর ঠিক হয়েছিল বিজেপির নবান্ন অভিযানের তারিখ। কিন্তু লোক না হওয়ার ভয়ে তা পিছিয়ে ১৩ তারিখ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। পাশাপাশি কোথা থেকে এই অর্থ আসছে সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
সেই প্রতিবেদনে দেওয়া খরচের হিসাবে লেখা হয়েছে, ৭টি ট্রেন ভাড়া করতে বিজেপির খরচ হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। ট্রেনের পাশাপাশি বাস, ট্রাক, ম্যাটাডর ও ছোট গাড়ি করে বিভিন্ন জেলা থেকে নবান্ন অভিযানে আনা হবে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। তা ভাড়া করতে ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে দাবি করা হয়েছে জাগো বাংলায়। নবান্ন অভিযান মঙ্গলবার। সেখানে যোগ দিতে দূরের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা সোমবার রাতেই এসে পৌঁছে যাবেন কলকাতায়। তাঁদের খাওয়াতে ৭৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে দাবি শাসকের মুখপত্রে। অভিযানের দিন সকাল ও রাতে খাওয়া-দাওয়ায়র খরচ ২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা বলে দাবি। পাশাপাশি কর্মীদের থাকার জন্য় ৬৭ লক্ষ টাকা বিজেপি খরচ করবে বলে প্রকাশিত হয়েছে জাগো বাংলার প্রতিবেদনে। এ ছাড়াও পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের খরচ ৪০ লক্ষ টাকা।
কিন্তু তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি, এত খরচ করেও লোক জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। তাই নবান্ন অভিযানে কলকাতার রাজপথ ভরাতে বিজেপি টাকা বিলোচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে জাগো বাংলার ওই প্রতিবেদনে। গ্রামাঞ্চল থেকে লোক আনতে মাথাপিছু ১২০০ টাকা এবং শহরাঞ্চলের লোক আনতে মাথাপিছু ১৮০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
তৃণমূলের মুখপত্রের এই প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়েছিল বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। তিনি বলেছেন, “জাগো বাংলা কে পড়ে? গণশক্তি কে পড়ে? মিথ্যা লেখে বলে লোকে ও সব পড়েই না।” এর পরই দিলীপের তোপ, “বিজেপি কাটমানির টাকায় চলে না। মানুষ ভালবেসে বিজেপিকে টাকা দেয়। গরুপাচার, কয়লাপাচারের টাকায় বিজেপি চলে না।”