কলকাতা: তিলোত্তমাকে কি খুনের পর ধর্ষণ? পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সূত্রে উঠছে তোলপাড় করা প্রশ্ন। তিলোত্তমা নিস্তেজ হয়ে পড়ার পরেও ধর্ষণ হয়ে থাকতে পারে? দেহে প্রাণ না থাকার পরেও ধর্ষণ? আরজি কর কাণ্ডে ‘তিলোত্তমা’র যৌনাঙ্গে যে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে, তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে ‘পেরিমর্টম’। ময়মাতদন্তের রিপোর্টে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। তাতেই ঘটনার বীভৎসতার কথা ভেবে চমকে উঠছেন অনেকে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ শোভন দাস তো স্পষ্ট বলছেন, “আমি ধর্ষণ ও খুন বলব না। আমি খুন ও ধর্ষণ বলব।” কেন বলছেন তিনি এ কথা?
তাঁর যুক্তি, “মেয়েটি ডাক্তার। শক্ত-সমর্থ মানুষ। যখন আক্রমণ হয়েছে সে প্রতিরোধ করেছে। তখন তার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারপর গলা টিপে ধরা হয়। তখনই সে অচৈতন্য হয়ে যায়। তারপরই ধর্ষণ হয়েছে। সে যখন অজ্ঞান হয়নি তখন ধর্ষণটা হয়নি। কারণ তখন ও লড়াই করছিল। আর যে এটা করেছে তার উপরেও অনেক ক্ষত তৈরি হয়েছে। হতে বাধ্য।”
তাঁর সাফ বক্তব্য ‘রেইকি’ করেই পুরো ঘটনা ঘটনো হয়েছে হয়েছে। তিনি বলছেন, “যে করেছে সে পুরোপুরিভাবে জায়গাটা চেনে, জানে। যাওয়া-আসার রাস্তাটাও জানে। সবথেকে বড় কথা, নির্যাতিতার পুরো গতিবিধি তাঁর আগে থেকেই নজরে ছিল। এটা পুরোটাই ইনসাইড ম্যাটার।” ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তির যে হাত থাকতে পারে সে বিষয়েও বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন শোভনবাবু। করছেন বিস্ফোরক দাবি। বলছেন, “মেয়েটি প্রচণ্ড লড়াই করেছে। যে ধর্ষণকারী তাঁর উপরেও প্রতি আক্রমণ হয়েছে। তাই যাঁরা ওর কাছাকাছি ছিল সবার পরীক্ষা করা দরকার। ওই চত্বরে যাঁরা সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি ছিল, ডিউটি করছিল, যাঁদের ডিউটি ছিল না অথচ ওই অবস্থায় ওখানে যেতে পারে, বা ওখানে দেখা গিয়েছে তাঁদের সবার মেডিকেল পরীক্ষা করে দেখা দরকার।” অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে গেলে এই রাস্তায় হাঁটা ছাড়া আর কোনও পথই খোলা নেই বলে মত তাঁর।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)