Fake IAS Arrest: দেবাঞ্জন দেবের পর শহরে আরেক ভুয়ো IAS গ্রেফতার
Kolkata Police: ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মঞ্জু ঘোষ নামে একজন।
কলকাতা: ফের শহরে গ্রেফতার ভুয়ো আইএএস (Fake IAS) অফিসার। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তকুমার মিত্র। সরকারি ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার পাশাপাশি ফরেন লিকার ও রেস্তো বারের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তকুমারের বিরুদ্ধে। এরপর তাঁর কীর্তি সামনে আসতেই শহরের একটি হোটেলে আত্মগোপন করেন। তল্লাশিতে হোটেল থেকে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজকর্মের নথিও মিলেছে। ধৃতের চার চাকার গাড়িতে নবান্ন, রাইটার্স বিল্ডিং, রাজভবন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, কলকাতা পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। সব স্টিকারই ভুয়ো। হোটেলের সামনেই রাখা ছিল গাড়িটি। পুলিশ সূত্রে খবর, বেলেঘাটার বাসিন্দা তিনি। মাঝেমধ্যে হরিদেবপুর এলাকায় থাকতেন বলেও জানা যাচ্ছে। দেবাঞ্জন দেবের কথা এখনও ভোলেনি রাজ্যবাসী। আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিনের জালিয়াতিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই তাঁর নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মঞ্জু ঘোষ নামে একজন। তাঁর অভিযোগ, শান্তকুমার মিত্র নামে একজন নিজেকে আইএএস অফিসার বলে দাবি করেছিলেন। মঞ্জু ঘোষ ও তাঁর মেয়েকে আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজারহাট মেগাসিটি জ্য়োতি বসু নগরে ‘ভিভিআইপি’ কোটায় কম টাকায় দু’টি সরকারি ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দেবেন। এর জন্য ১১,৭৬,০০০ টাকাও দেন মঞ্জুদেবী।
মঞ্জুদেবীর অভিযোগ, টাকা নিলেও কথামতো ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা। পাননি লিকার লাইসেন্সও। টাকা চাইলে তাও ফেরানো হয়নি বলেই অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর ধরে বীরেশ গুহ স্ট্রিটের একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। রবিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে বড়তলা থানার পুলিশ ওই ভুয়ো আইএএসকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, শান্তকুমারের বয়স ৬১ বছর। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছে।