কলকাতা: জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগে আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb)। তবে এবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের তদন্তে উঠে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতদিন অভিযোগ ছিল, দেবাঞ্জনের টিকাদানের শিবির থেকে অ্যামিকাসিন ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠছে, ভ্যাকসিনের ভুয়ো লেবেলের আড়ালে অন্য ইনজেকশনও দিয়েছেন দেবাঞ্জন। সবথেকে মারাত্মক হল সেই ইনজেকশন আসলে স্টেরয়েড। যদি এই অভিযোগের সত্যতা এখনও প্রমাণিত নয়, তদন্ত সাপেক্ষ।
দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিন-মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার ১৩ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। সেখানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে দেখা গিয়েছে, স্টিকারের উপর স্টিকার সাঁটিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল দেবাঞ্জন দেবের টিকা-শিবির থেকে। শুধু ‘অ্যামিকাসিন সালফেট’ নয়, স্টেরয়েড ইনজেকশন ‘ট্রায়ামসিনোলোন’-এর স্টিকারও ছিল।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ট্রায়ামসিনোলোন সেই স্টেরয়েড যার বিরাট কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় তেমনটা নয়। তবে যে কোনও স্টেরয়েডই শরীরের জন্য যে ক্ষতিকর সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে হলফনামায় এই ট্রায়ামসিনোলোন ও অ্যামিকাসিনের উল্লেখ থাকলেও তা সত্যিই ব্যবহার করা হয়েছিল কি না তা ফরেন্সিক রিপোর্টেই নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই দেবাঞ্জনের সব কীর্তিকলাপ
এর আগে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দেবাঞ্জনের কসবার অফিস থেকে কোভিশিল্ডের প্রায় ১২০ টি ভায়াল পান। কিন্তু, তা দেখে সন্দেহ হওয়ায় কোভিশিল্ডের স্টিকার ধরে টান দিতেই খুলে যায় রহস্যের জাল। দেখা যায়, কোভিশিল্ডের স্টিকারের আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে অ্যামিকাসিন ৫০০ ইঞ্জেকশন। চিকিৎসকদের মতে, মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। জ্বর, সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে এই ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, কোভিশিল্ডের নাম করে এই অ্যামিকাসিন ভ্যাকসিনই দেওয়া হয়েছিল টিকা প্রাপকদের। এরই মধ্যে আবার বিতর্ক বাড়িয়ে উঠে এল ট্রায়ামসিনোলোন স্টেরয়েড ইনজেকশনের নামও।