কলকাতা: পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জন দেব দাবি করেছেন, কোভিশিল্ডের (Covishield) ডোজ় চেয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এবার রাজ্যের হলফনামাতেও উঠে এল সেরাম-প্রসঙ্গ। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারই জবাবে রাজ্য যে হলফনামা দিয়েছে, সেখানে উল্লেখ রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটকে নোটিস পাঠানোর বিষয়।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গত দু’আড়াই সপ্তাহ ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একইসঙ্গে এই জালিয়াতি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় স্তরেও। এরই মধ্যে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। সেই রিপোর্ট সম্বলিত হলফনামাই জমা পড়েছে রাজ্যের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, ২২ জুন কসবা পুলিশ জানতে পারে একটি ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চলছে। পুলিশ গিয়ে দেখে, দেবাঞ্জন দেব নামে জনৈক নিজেকে আইএএস পরিচয় দিয়ে ওই ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। সেই ক্যাম্পে পুরসভার কোনও অনুমতিও ছিল না। সেদিনই প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জনকে।
এরপর দেবাঞ্জনের কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়। ২৩ তারিখ ঘটনাস্থল থেকেও একাধিক ভুয়ো তথ্য উদ্ধার হয় বলেই উল্লেখ রয়েছে রাজ্যের হলফনামায়। ১৩ পাতার ওই হলফনামায় ২১ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন অভিযোগকারী মিমি চক্রবর্তী, লাভলি মৈত্র ও শান্তনু সেনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই তিনজনই শাসকদলের নেতা।
আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই দেবাঞ্জনের সব কীর্তিকলাপ
হলফনামার ৩১ নম্বর পয়েন্টে আবার বলা হয়েছে, সেরামের জেনারেল ম্যানেজারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যেহেতু সংস্থাটি কোভিশিল্ডের উৎপাদক এবং কোভিশিল্ড ঘিরেই এত বিতর্ক। তাই তাদের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। জবাবের অপেক্ষায় রাজ্য।